মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরকমিশনার কাঠেরচর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সিকদার এর পুত্র চুন্নু সিকদার দীর্ঘ ৫বছর যাবৎ আদম ব্যবসায় করে আসছে। জানা যায় চুন্নু সিকদার এর মাধ্যমে মুলাদী উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন সাথে বিদেশের বিষয়ে দালালী করে, অসহায় লোকদের কাছ থেকে ৪/৫ লক্ষ টাকা বিদেশ পাঠিয়ে দিয়ে থাকলে যারা বিদেশে যায় তারা এক থেকে দের মাসের মধ্যে বাড়ী ফিরে আসতে হয়। আসার পর চুন্নু সিকদারের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ভয়ভীতি, ও মামলার হুমকী প্রদান করে। আরও জানা যায় চুন্নু সিকদারের নিজের মেয়ের জামাইকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার পর দের মাসের মধ্যে বাড়ী ফিরে আসে। বাড়ীতে আসার পর মেয়ের জামাই শশুরের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গেলে জামাইকেও ছাড় দেয়নি পাষন্ড শশুরী, টাকার জন্য মামলার আসামী হয়ে জেল কাটতে হয়েছে জামাইকে। বিদেশের টাকা ফেরত চাইতে গেলে গত ১৯ শে জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় একই এলাকার মোতাহার ফরাজীর পুত্র রাসেল ফরাজী দালাল চুন্নু সিকদারের বাড়ীতে বিদেশ ফেরত টাকা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটির শুরু হয়। কথা কাটাকাটির জের ধরে বাসেল ফরাজীর উপর মুলাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করে চুন্নু সিকদার। তারপরেও থেমে থাকেনি চুন্নু সিকদার, থানায় অভিযোগ দায়ের পর ঘটনার ৪ দিন পরে চুন্নু সিকদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগম গত ২৩ জানুয়ারী মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি চুন্নু সরদারের স্ত্রী মাহিনুর বেগম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমাদের মাধ্যমে রাসেল ফরাজী বিদেশ যায়, বিদেশে গিয়ে জেল কাটে, বিদেশে যাওয়ার দের মাস পরে দেশে ফিরে আসে, আসার পরে গত ২১ শে জানুয়ারী সকাল ৮টায় সময় আমাদের বাড়ীতে টাকা ফেরত চাইতে আসে, এর পর কথাকাটাকার্টি হয়। এ বিষয়ে মুলাদী থানায় এস আই সিদ্দিক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাসেল ফরাজীর বিরুদ্ধে চুন্নু সিকদার অভিযোগ করে, অভিযোগের কারনে আমি ঘর্টনা স্থলে গিয়ে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলি। পরে গত ২৩ জানুয়ারী ঘটনার ৩দিন পরে হাসপাতালে ভর্তি হয় চুন্নু সিকদার ও তার স্ত্রী রাহেলা বেগম। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী রাসেল ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ভিটা ও জমিজমা বিক্রয় করে এবং মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে বিদেশ গিয়েছি। আমি অসহায় আমার বাচার কোন অবস্থা নাই, তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
Leave a Reply