নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারাদেশের মতো বরিশালেও চলতি সপ্তাহে শুরু হচ্ছে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম। এ লক্ষ্যে টিকা প্রদান কার্যক্রমে সম্পৃক্তদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তবে করোনার টিকা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। অনলাইনে করোনার টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কেও অবগত নয় অনেকে। অনেকে আবার নানা প্রয়োজনে টিকা নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। টিকা প্রদানের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন। গত ২৯ জানুয়ারি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান এসেছে বরিশালে। প্রথম দফায় বরিশাল জেলার জন্য ১৪ কার্টনে এসেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনালের হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেয়া হবে করোনার টিকা। টিকা প্রদানকারীদের প্রশিক্ষকদের প্রথম দলের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দ্বিতীয় দলের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। আগামী ৭ অথবা ৮ ফেব্রুয়ারি মাঠ পর্যায়ে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা জানিয়ছেন বরিশালের সিভিল সার্জন। তবে টিকা নিয়ে ভয় কাটছে না জনসাধারণের মাঝে। দেখে শুনে তারপর টিকা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন মো. সেলিম খান নামে এক ব্যক্তি। তবে অনেকে নানা প্রয়োজনে টিকা গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জেলার মেহেন্দিগঞ্জের বাসিন্দা সঞ্জয় গুহ জানান, তিনি সপরিবারে চিকিৎসার জন্য ভারত যাবেন। ভারত যেতে হলে করোনার টিকা নিতে হবে। এ কারণে তিনি সপরিবারে টিকা নিতে আগ্রহী। তবে কোন প্রক্রিয়ায় কীভাবে করোনার টিকা গ্রহণের জন্য অ্যাপসে আবেদন করবেন তা এখনও জানেন না তিনি। এদিকে টিকা নিয়ে জনসাধারণের ভয় কাটানো এবং টিকা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারনার কথা বলা হলেও বরিশালের কোথাও কোন প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক মুরাদ আহমেদ। তিনি টিকা নিয়ে অপ্রপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে সরকারিভাবে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর দাবি জানান। বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, অ্যাপসের মাধ্যমে করোনার টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন বরিশালে এখনও শুরু হয়নি। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৫ ক্যাটাগরির মানুষ আপাতত এই ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবে। জেলায় টিকা প্রদানের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৭০ হাজার মানুষের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গেলে রেজিস্ট্রেশনের প্রিন্ট কপিসহ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গেলে সেখানে টিকার দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
Leave a Reply