দখিনের খবর ডেস্ক ॥ সপ্তাহখানেক ধরে চলা শৈত্যপ্রবাহের রেশ কাটতে পারে দু-তিন দিনের মধ্যে; এরপর ধীরে ধীরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পঞ্জিকার পাতায় বসন্ত আসতে দেরি নেই, আর দিন দশেক পরেই ফাল্গুন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শীত বিদায় নিলে মাসের শেষভাগে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। শীত বিদায়ের আগে তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটে দেশের প্রায় সব জায়গায়। এর মধ্যে দেশের উত্তর জনপদের কয়েকটি জেলায় ছিল তীব্র শীত। ৩১ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে যায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বড় এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে ‘মৃদু’; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে ‘মাঝারি’ এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়। আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবারও রাঙ্গামাটি, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও দুয়েকদিন থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়বে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শীতের আমেজ কেটে যাবে। শীত শেষে মাসের শেষে দুয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন শিলাবৃষ্টি হতে পারে। ফেব্রুয়ারির মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসেও মাসের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের কোথাও কোথাও ১-২ দিন শিলাবৃষ্টি ও বিজলি চমকানোসহ বজ্রঝড়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
Leave a Reply