দখিনের খবর ডেস্ক ॥ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আস্থা বাড়ছে বিশ্ববাসীর। বাড়ছে আগ্রহও। আগের চেয়ে আরও বেশি মানুষ এখন ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এক জরিপের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে এই খবর। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেকই বলেছেন, আগামী সপ্তাহে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে তারা তা গ্রহণ করবেন। ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থার কথা বলেছেন আরও বেশি মানুষ। ব্রিটেনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ ও ইম্পেরিয়াল কলেজের ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশন বিশ্বের ১৫টি দেশে চালিয়েছে এই জরিপ। এতে দেখা গেছে, ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন মত দিয়েছে। কেউ এটি গ্রহণের পক্ষে কেউ বিপক্ষে। সবচেয়ে বেশি সংশয় প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, এশিয়ার কিছু দেশে ভ্যাকসিনের প্রতি আস্থা কমেছে। তবে ইউরোপের কিছু দেশে আস্থা ও আগ্রহ দুটোই বেড়েছে। গবেষণার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, গত নভেম্বরের চেয়ে এখন ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের আস্থা বেড়েছে। নভেম্বরেও বিশ্বের ১৫টি দেশে সাড়ে ১৩ হাজার মানুষের ওপর একই জরিপ চালানো হয়েছিল। তখন মাত্র ৪০ ভাগ মানুষ এই ভ্যাকসিনে আগ্রহ ও আস্থা প্রকাশ করে। এখন তা অনেক বেড়েছে। জরিপের ফল অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা ১০০ জনে ৭৮ জন, ডেনমার্কে এই সংখ্যা ৬৭। তবে ১৫টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে সবচেয়ে বেশি অনাগ্রহ দেখিয়েছে ফ্রান্সের মানুষ। নভেম্বরেও ভ্যাকসিনের প্রতি প্রবল আগ্রহী ছিলেন এমন কিছু মানুষ জানুয়ারিতে এসে দেশটিতে সেই আগ্রহ হারিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গপুরে ভ্যাকসিন নিয়ে আগের চেয়ে আগ্রহ কমেছে মানুষের। জরিপে বলা হচ্ছে, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এখন ভ্যাকসিনে আস্থা রাখতে শুরু করেছে। জরিপে অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের ভ্যাকসিনের ওপর ‘শক্ত’ আস্থা রয়েছে। তাদের বিশ্বাস, সুস্থ থাকতে তাদের ভ্যাকসিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ বলছে- ভ্যাকসিনে তাদের আস্থা নেই। ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশনের সহ-পরিচালক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ ডেভিড নাবারো বলেন, মহামারি নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষকে এর উপকারিতা বোঝাতে হবে। কেউই যেন ভ্যাকসিনের আওতার বাইরে না থাকে।
Leave a Reply