দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পৌরসভার পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সাম্প্রতিক ভোটগুলোতে বাড়ছে অনিয়মের অভিযোগ। কোথাও কোথাও খোদ ইসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে ফল পাল্টে দেয়ার অভিযোগও। এ ঘটনায় বিব্রত নির্বাচন কমিশনও। তবে পৌর নির্বাচনের অনিয়মের তদন্ত করলেও গেজেট প্রকাশ হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তদন্ত করবে না কমিশন। গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে পৌরসভার তিন দফার ভোট শেষ হয়েছে এরইমধ্যে। ব্যালটের পাশাপাশি অনেক পৌরসভায় ভোট হয়েছে ইভিএম পদ্ধতিতে। তবে গত ৩০ ডিসেম্বর তৃতীয় দফা পৌর নির্বাচনে ৬২ পৌরসভায় ভোট হয় ব্যালট পেপারে। ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথম দুই দফার ভোটের চাইতে তৃতীয় দফার ব্যালটের ভোটে ভোটের হার প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। সেই সাথে অনিয়ম কারচুপির অভিযোগও ছিলো বেশ কিছু জায়গায়।গত ২৭ জানুয়ারি সম্পূর্ণ ইভিএমে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন। সেদিন পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের ভোট শেষে কেন্দ্র থেকে কাউন্সিলর প্রার্থীদের যে ফলাফল দেয়া হয়, তাতে দেখা যায় ঐ কেন্দ্রের ভোট মাত্র ২৫৯। পরে জিমনেসিয়াম ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায় ঐ কেন্দ্রের ভোটার উপস্থিতি ২০৯০। একইরকম চিত্র দেখা গেছে আরো কয়েকটি কেন্দ্রে। শুধু তাই না, চুড়ান্ত ফলাফলও পরিবর্তন হয়েছে দু বার। প্রায় পাঁচ হাজার ভোট বাড়িয়ে ফলাফল ঘোষণার দু দিন পরে তা কমানো হয়েছে। এ সব ঘটনায় ইসির কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছেন, কয়েকটি পৌরসভার ভোটে অনিয়মের অভিযোগে শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে। তবে গেজেট হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটির ফলাফল তদন্তের সুযোগ নেই। শুধুমাত্র যেসব পৌরসভায় অনিয়মের অভিযোগ ছিলো তার তদন্ত হবে।
Leave a Reply