দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, শুধু বাঁধ বাঁধলেই হবে না, বাঁধ সুরক্ষায় গাছ লাগিয়ে ভরে তুলতে হবে। বাঁধ যাতে আর না ভাঙে সেজন্য গাছ লাগিয়ে জঙ্গল তৈরি করতে হবে। নদীর স্রোতের টানে বাঁধ ভাঙন রোধে জেগে ওঠা চর কেটে স্রোতেরর দিক পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল শনিবার সকালে সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরে সুপার সাইক্লোন আম্পানে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভাঙনকবলিত বাঁধের পাশে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের মাটি কেটে ভাঙনকূল রক্ষা করতে হবে। আর সেখানে গাছ লাগাতে হবে। তবেই টেকসই হবে বেড়িবাঁধ। তা না হলে বাঁধ টিকবে না। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী বর্ষার আগেই বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতে সরকার কাজ করছে। সাতক্ষীরা এবং খুলনার কয়রা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। উপকূলের ভাঙন কবলিত ১২টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ বাঁধার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ সম্পন্ন করেছে। ১২টি প্রকল্পে সেনাবাহিনীকে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তার সাথে ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, পানি সম্পদ মন্ত্রালেয়র অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ দৌলা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিকল্পনা ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী রফিকউল্লাহ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের। এর আগে তিনি সকালে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার কামালকাটি, ঘোলা, হিজলিয়া-কোলা, হাজরাখালি ও হরিষখালীর আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বেঁড়িবাধ পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply