চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের শশীভূষণ বেগম রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছালমা আক্তার মুন্নির উপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও দুস্কৃতিকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের সামনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী চরফ্যাসন-শশীভূষণ সড়ক অবরোধ করে এই মানববন্ধন করেন। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছালমা আক্তার মুন্নি নিজ ঘরের বারান্দার খাটে শুয়ে মোবাইলে সিনেমা দেখছিলেন। এসময় খোলা জানালা দিয়ে একই এলাকার বখাটে যুবক বেলায়েত হোসেন তোতা মিয়া ও হানিফ মাঝি তার উপর ইনজেশনের শিরিঞ্জ দিয়ে অ্যাসিড জাতীয় ক্ষয়কারক তরল পদার্থ ছুড়ে। এতে মন্নির মুখের ডান পাশের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গায়ে শীতের কাপড় ও লেপ মুড়ানো থাকায় শরীরের অন্যান্য অংশ রক্ষা পায়। অ্যাসিড মুখে লাগার সাথে সাথে মুন্নি চিৎকার করে উঠলে বাড়ির অন্যান্য লোকজন বেড়িয়ে এসে বেলায়েত হোসেন তোতা মিয়া ও হানিফকে পালিয়ে যেতে দেখেন। তাৎক্ষণিক রাতেই মুন্নিকে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।অ্যাসিড হামলার শিকার কলেজ ছাত্রী ছালমা আক্তার মুন্নি বর্তমানে চরফ্যাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই কলেজ ছাত্রী মুন্নির বাবা বাদী হয়ে বেলায়েত হোসেন তোতা মিয়া ও হানিফ মাঝিকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের ৪দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার না করায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে ওই কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন। এসময়ে মানববন্ধনে বক্তরা দুই দুস্কৃতিকারী অভিযুক্ত বেলায়েত হোসেন তোতা মিয়া ও হানিফ মাঝিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওয়াতার এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এবং দ্রুত অ্যাসিড নিক্ষেপকারী দুই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হলে অনিদিষ্ট কালের জন্য কর্মসুচির ঘোষণা দেন ওই কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।এসময় মানববন্ধনে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আল এমরান, সাধানর সম্পাদক জিহাদুল ইসলামসহ ওই কলেজের অধ্যয়নরত প্রায় তিনশতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পরপরই আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা অব্যহত রয়েছে।