বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
শেবাচিম হাসপাতালে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

শেবাচিম হাসপাতালে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ যেন পিছু ছাড়ছে না বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। ২০১৫ সালে ১৭২ পদে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করে ২১২ জনকে নিয়োগ দিতে গিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিলো তৎকালীন হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যে কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করলে নিয়োগপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। আর উচ্চ আদালতের রায়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজেও যোগ দেন। এরপর বেশ কয়েকটা বছর কেটে যাওয়ার পরে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ১২টি ক্যাটাগরিতে ৩২ জন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আর তা নিয়েও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বর্হিভূত নিজ জেলার প্রার্থীদের ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার পায়তারার অভিযোগে পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে পাবনা জেলার জাবরকোলের দুই পরীক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম ও জুয়েনা নীতি যৌথভাবে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা মামলাটির আদেশের পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন। মামলায় অন্যান্য বিবাদীরা হলেন, শেবাচিম হাসপাতালের উপ-পরিচালক ও কর্মচারী নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরিশাল জেলা প্রশাসক, বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক ও মেহেন্দিগঞ্জ উলানিয়ার আশা এলাকার আবুল কালাম, পটুয়াখালী বাউফল বিলবিলাস এলাকার আশ্রাফুজ্জামান ও ঝালকাঠী কাঠালিয়ার জোরখালী এলাকার মিজানুর রহমান। মামলা পরিচালনাকারী আজাদ রহমান জানান, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ১২টি ক্যাটাগরিতে ৩২ জন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, মাদারীপুর ও বাগেরহাট জেলার প্রার্থীদের আবেদন না করার জন্য বলা হয়। এরপ্রেক্ষিতে সিরাজুল ইসলাম ও জুয়েনা নীতি সব কাগজপত্র সংযুক্ত করে ফার্মসিস্ট পদে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব হাসপাতালের উপ-পরিচালক তাদের প্রবেশপত্র ইস্যু করেন। কিন্তু ৫ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষার দিন কমিটির সদস্যরা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ পাইয়ে দিতে বাইরে থেকে নকল সরবরাহ করেন। বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলা বাদে বাকি ৫টি জেলার কোটা বাদ দিয়ে হাসপাতালে ১২টি ক্যাটাগরিতে ৩২ জন নিয়োগের কথা থাকলেও বরিশালের বাসিন্দা ও হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীরা জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তাদের স্বজনদের জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্যে মেহেন্দিগঞ্জ উলানিয়ার আশা এলাকার আবুল কালাম। তিনি বর্তমানে নগরীর রুপাতলী এলাকায় বসবাস করেন। আবুল কালাম সাবেক ও বর্তমান পরিচালকের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় দুই বছর আগে তার চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও তিনি গাজীপুর জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে ড্রাইভার পদে আবেদন করেন। একইভাবে হাসপাতালের অফিস সহকারী সৈয়দ নান্নার মেয়ে এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোদাচ্ছের কবিরের মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিতে একই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আবেদন করেন। ওই তালিকায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রধান সহকারীর নামও রয়েছে। আবুল কালাম শর্তানুসারে নিয়োগ পেতে অযোগ্য হলেও পরিচালকসহ অন্যান্যদের সহায়তায় তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া পটুয়াখালীর আশ্রাফুজ্জামান ও ঝালকাঠীর মিজানুর রহমান শর্তানুসারে অযোগ্য হলেও তারা ফার্মাসিস্ট পদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ৬ ফেব্রুয়ারি পরিচালক ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৪ জন প্রার্থীর পরীক্ষার ফলাফল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেন। পরিচালকের চাকরি মেয়াদ আগামী মার্চ মাসে শেষ হবে। এজন্য তিনি তড়িঘড়ি করে বেআইনিভাবে পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন। এ ঘটনায় নিয়োগের সব কার্যক্রম বাতিল চেয়ে পুনরায় সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com