দখিনের খবর ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের মদিনায় সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছয় বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম পাঁচ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। অপরজনের পরিচয় স্থানীয় প্রবাসীদের সূত্রে জানা গেছে। নিহতরা হলেন- মিজানুর রহমান, মো. আরাফাত হোসেন মানিক, ইসহাক মিয়া, আবদুল আজিজ ও রফিক উদ্দিন। এদের মধ্যে মিজান ও আরাফাত সহোদর। এ ছাড়া স্থানীয় প্রবাসীদের থেকে জানা অপর নিহত হলেন সাইফুল ইসলাম। তাদের মৃত্যুতে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) গতকাল শনিবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, মৃতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। রাষ্ট্রদূত জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সিলরকে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে দূতাবাসকে অবহিত করার নির্দেশ দেন। স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় ও মৃতদেহ দ্রুত দেশে প্রেরণের নির্দেশ তিনি। গত বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন সাত শ্রমিক। এদের মধ্যে ছয়জনই বাংলাদেশি। মদিনা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে হেরাজ মার্কেটের কাছে আল খলিল সড়কের পাশে অবস্থিত একটি সোফা তৈরির কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে রিয়াদের শিফা সানাইয়া এলাকায় এরকম একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ বাংলাদেশি, ২০১৬ সালের এপ্রিলে পূর্বাঞ্চলীয় শহর জুবাইলের এক পেট্রোক্যামিক্যাল কারখানায় আগুনে ১২ জন প্রাণ হারান। একই বছর আগস্টে রিয়াদের হারাজ বিন কাশেম মানফুহা এলাকার একটি সোফা কারখানায় চার বাংলাদেশি শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। ঠিক তার এক বছর আগে দাম্মামের দাল্লা সানাইয়া এলাকার একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশি নাগরিকসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০১৪ সালের মে মাসে রিয়াদের সিফা সানাইয়ার আরেকটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে কুমিল্লার ৯ জন ও ফেনীর একজনসহ মোট ১০ জন নিহত হন। গত এক দশকে সৌদি আরবের বিভিন্ন কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত প্রবাসী নিহত হয়েছেন।
Leave a Reply