মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া ॥ বরিশালের বানারীপাড়ায় সতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র নেতা মু.মুন্তাকিম লস্কর কায়েস গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। রবিবার ১৪ ডিসেম্বর এই পৌরসভা নির্বাচনের শুরুর দিকে সতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ৬ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের কলেজ গেটে ওই ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় মুন্তাকিম লস্কর কায়েসকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিয়াউল হক মিন্টুকে পুলিশ অনেক সময় হেফাজতে রেখে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে কায়েস লস্কর বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহন শুরু হওয়ার পরে সকালে নারিকেল গাছ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টুর নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসীবাহিনী মোটর সাইকেল বহর নিয়ে কলেজ গেটের অদুরে থামিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কায়েসের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ অবস্থা দেখে স্থানীয় লোকজন ও কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এবং জিয়াউল হক মিন্টুকে পুলিশ কলেজের মধ্যে নিয়ে হেফাজতে রাখে। আহত অবস্থায় মুন্তাকিম লস্করকে স্থানীয়রা বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েযায়। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত বানারীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীলকে মনোনয়ন দেয়। তবে সতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মিন্টু তা মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। পরে দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। মুন্তাকিম লস্কর কায়েসেরর ওপরে হামলা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। যার তদন্ত হওয়া দরকার। কলেজের ভেতরে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় জিয়াউল হক মিন্টু সাংবাদিকদের জানান তিনি কলেজ কেন্দ্রের সামনে এলে কেন্দ্রের সামনে তার লোকজনকে বাধা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে মুন্তাকিম লস্কর কায়েসের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এসময় হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. হেলার উদ্দিন জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে। জিয়াউল হক মিন্টুকে তাৎক্ষনিক পুলিশ হেফাজতে রেখেছিল পরে পরিস্থিতি সাভাবিক হলে তাকে বাসায় পাঠানো হয়।
Leave a Reply