সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
‘জলের দেবি’ সূর্যভানু

‘জলের দেবি’ সূর্যভানু

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ ‘মোরা স্যার কাম না করলে খামু কী? কেউ তো মোগো লইগা খাওন বাড়ি লইয়া আয় না। বেয়ান (সকাল) হইতে রাইত পর্যন্ত হগোল দোহানে পানি দিয়া যে টাহা পাই হেইয়া দিয়া চাউল কিনি আর হেইতেই মোর সংসার চলে’– কথাগুলো সূর্যভানু বেগমের। থাকেন বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। আগে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন সূর্যভানু। এখন পানি টেনে সংসার চালান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের মুদি মনোরহী, ফলের দোকান, চা-পান ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ২ শ বিভিন্ন দোকানে কলসিভর্তি পানি টানেন। একটা ভ্যানে করে টিউবওয়েল থেকে ৮-১০টি কলসি নিয়ে দোকানদারের চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করতে হয়। কোনো দোকানে টিউবওয়েলের পানি আবার কোথাও খালের পানি দেন। কাজের জন্য সময়মতো খেতেও পারেন না। কখনো সকালের খাবার দুপুরে, আবার দুপুরের খাবার রাতে খেতে হয়। বাসস্ট্যান্ডের দোকানগুলোয় সূর্যভানুর পানিই একমাত্র ভরসা। ভাই ভাই সেলুনের উজ্জল শীল জানায়, বাসস্ট্যান্ডের সকল দোকানে একমাত্র পানি দেয় সূর্যভানু। এ জন্য শখ করে তাকে পানিমন্ত্রী বলে ডাকি। হোটেল মালিক শওকত হোসেন জানায়, সূর্যভানু অসুস্থ থাকলে আমাদের নিজেদের পানি আনতে হয়। এ জন্য একমাত্র ভরসা তিনি। ১১ বছর আগে সূর্যভানুর স্বামী আব্দুস ছোমেদ মারা যান। টানাপড়েনের সংসারে ছেলে মো. শাহীন (২১) মাত্র চতুর্থ শ্রেডু পর্যন্ত আর মেয়ে মুন্নি (১৯) পঞ্চম শ্রেডু পর্যন্ত পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন। গত ৩ বছর পূর্বে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। পানি টেনে কলসপ্রতি পাঁচ টাকা করে আয় করেন তিনি। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় তাঁর। তবে সূর্যভানু বললেন, মুই অ্যাহন আর আগের মতো কাম করতে পারি না। সূর্যভানু বয়সের কারণে এবং বিভিন্ন রোগে অসুস্থভাবে কাজ করে সংসার চালান। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন ফকির বলেন, সূর্যভানুকে সাহায্য করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com