চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নে তালাকপ্রাপ্ত নারীর খোরপোষের টাকা জোরপুর্বক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় শালিশদার খোকন মালতিয়া,নুরু হাওলাদার ও হাসান নামের তিন মাতাব্বরের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী এক সন্তানের জননী সাজেদা বেগম। ভূক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মৃতঃ ছালাউদ্দিন মেম্বারের ছেলে আলামিনের সাথে ৫ বছর আগে তার পারিবারিক সমোঝতায় ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে সানজিদা নামের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরপরই স্বামী আলামিন একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এবং আরো দুইটি বিয়ে করেন। এবং এনিয়ে তাদের দাম্পত্য জিবনে কলহ শুরু হয়। কলহ জের ধরে স্বামী আলামিন তাকে তালাক দেয়ার হুমকি দেন। স্বামী তালাক দেয়ার হুমকি দিলে ২০২০ সনের ডিসেম্বর মাসে তিনি বিচার চেয়ে চরফ্যাসন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে স্বামী আলামিনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দেন। স্বামী আলামিনের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় দীর্ঘ তিন মাস সময় ক্ষেপনের পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খোরপোষ ধার্য করে তাদের সংসার বিচ্ছেদ ঘটে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তার পাওনা বুঝিয়ে দিলে স্থানীয় প্রতিবেশী খোকন মালতিয়া , নুরু হাওলাদার, হাসান নামের তিন মাতাব্বর জোরপুর্বক টাকা গননার নামে ওই টাকা তাদের পকেটস্থ করেন এবং তার বাড়িতে গিয়ে টাকা বুঝিয়ে দিবেন বলে জানান। মাতাব্বররা টাকা বুঝিয়ে দেয়ার নামের তালবাহানা শুরু করলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের হস্তক্ষেপে তিন মাতাব্বর তাকে ১ লাখ টাকা বুঝিয়ে দিলেও বাকী ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্নসাত করেন। এবং মাতাব্বররা ৫০ হাজার টাকা না দেয়ার বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য হুমকি ধামকি দেন। ঘটনার একদিন পর তার পাওনা বাকী টাকা চাইলে আর কোন টাকা দিতে পারেবনা বলে সাফ জানিয়ে দেন ওই তিন মাতাব্বর। এনিয়ে চাপাক্ষেভ বিরাজ করছে তার পরিবারে। তার খোরপোষের বাকী ৫০ হাজার টাকা ফিরত পাওয়ার দাবী জানান ভুক্তভোগি নারী সাজেদা বেগম। অভিযুক্ত মাতাব্বর খোকন মালতিয়া এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাবে মাতাব্বর নুরু হাওলাদার জানান, ওই নারী পাওনা টাকা আমারা বুঝিয়ে দিয়েছি। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বিস্বাস জানান, ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সমোঝতা করা হয়েছে। নারী খোরপোষের পাওনা টাকা তার স্বামীর কাছ থেকে আদায় করে নারীকে খোরপোষের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই।
Leave a Reply