দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজির বিরুদ্ধে এক কৃষকক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হন কৃষক ইসমাইল হোসেন হাওলাদার (৫০)। বৃহস্পতিবার দুপুরে চেঁচরী ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্য সৈয়দ খান, সোহেল জমাদ্দারসহ স্থানীয় লোকজনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই কৃষককে মামলায় জড়িয়ে পুলিশে দেওয়ারও হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান। ইসমাইল হোসেন হাওলাদার পশ্চিম চেঁচরী গ্রামের মৃত আবদুস ছোমেদ হাওলাদারের ছেলে। ছেলের চাকরির জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। চাকরি না দিয়ে তিন বছর পর অর্ধেক টাকা ফেরত দেন জাকির হোসেন ফরাজি। বাকি টাকা টালবাহান করেন তিনি। ওই কৃষকের পরিবার অভিযোগ করে, তিন বছর আগে ছেলে নাজমুল হাওলাদারকে স্থানীয় ২ নং মধ্য চেঁচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজির কাছে যান ইসমাইল হোসেন। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নেন ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু নাজমুলকে চাকরি দিতে পারেননি তিনি। এ অবস্থায় ইসমাইল হোসেন তার টাকা ফেরত চান। তিন বছর ঘুরিয়ে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন ইউপি চেয়ারম্যান। বাকি টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে অভিযোগ করেন ইসমাইল। ওই ব্যক্তি তার বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজি। তার ‘দেহরক্ষী’ কবির হোসেন ও দিপককে পাঠিয়ে ইসলাম হোসেনকে ইউনিয়ন পরিষদে ধরে আনার নির্দেশ দেন তিনি। এরপর কৃষক ইসমাইলকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায় ওই দুই ব্যক্তি। সেখানে তাকে গালাগালের এক পর্যায়ে মারধর করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় ওই কৃষককে মামলায় জড়িয়ে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। কৃষক ইসমাইল হোসেন হাওলাদার জানান, ভয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কৌশলে বেড়িয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমি ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি, তাকে মারধরও করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথা কথা।’
Leave a Reply