নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের অভ্যন্তরে আছে সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা। বিএম কলেজকে বছরে তারা ভাড়া দেয় মাত্র ২৫০ টাকা। একবছর কিংবা দুবছর নয়। ১৯৭২ সালে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পরপরই এই টাকা কলেজকে দিয়ে আসছে ব্যাংকটি। সম্প্রতি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ভাড়া বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি চিঠি দিয়েছে। এরপরই মাউশি নতুন করে ভাড়া চুক্তি সম্পাদনের জন্য অনুমতি দেয়। মাউশির এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, অধিদপ্তর থেকে অনুমতি দিলেই ভাড়া বৃদ্ধি বা চুক্তি হবে না। এ বিষয়টি দেখভাল করবে গণপূর্ত বিভাগ। আমরা প্রাথমিকভাবে এ অনুমতি দিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএম কলেজের পুরাতন ভবনের দুটি কক্ষে সোনালী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘদিন এত অল্পটাকায় ভাড়া দেয়া হলেও সম্প্রতি ভাড়ার বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পরই ভাড়ার বিষয়টি আমার নজরে আসে। এ বিষয়ে ব্যাংকের কাছে নতুন চুক্তি করতে আমি একটি প্রেয়ার করি। তাদের সম্মতিতে ভাড়া বৃদ্ধিতে মাউশির কাছে আবেদন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিএম কলেজ এর সঙ্গে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ভাড়া চুক্তি সম্পাদনের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। গণপূর্ত থেকে তদন্তকারী এসে দেখার পর তারা বর্তমান বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বাজেট জানাবে। এরপরই ব্যাংক কলেজকে সময় উপযোগী ভাড়া দেবে।
Leave a Reply