বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা প্রতারণা ও জালিয়াতি করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে যশোরের প্রতারক মিঠু স্কুল কলেজের আধুনিক শিক্ষার ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষাকেও কর্মমূখী শিক্ষায় রুপান্তর করতে হবে-এম. জহির উদ্দিন স্বপন বিসিসিআই’র রেজিস্ট্রার খাতা ছিনতাইয়ের সময় গণধোলাইর শিকার হলেন শেখ রহিম আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় মন্দির ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করে মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-জহির উদ্দিন স্বপন দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিবর্তন হতে পারবে না–খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম জহির উদ্দিন স্বপন
বেতাগীতে ট্রলার চালক আবুল বাশার এখন ক্লিনিকের মালিক ও সিজার করছেন

বেতাগীতে ট্রলার চালক আবুল বাশার এখন ক্লিনিকের মালিক ও সিজার করছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরগুনার বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে বেতাগী-মির্জাগঞ্জ সড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেবার নামে এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে গলাকাটা রমরমা বাণিজ্য। প্রসূতি মায়েদের গর্ভের সন্তান সিজার করার সময় একাধিক শিশু ও মায়ের মৃত্যুর খবর রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় গড়া এ অবৈধ ক্লিনিকের মালিকের অমানবিক ব্যবহারের ফলে সাধারণ মানুষ টাকা খরচ করেও উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী পৌর শহরে বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে ২০১৮ সালের মে মাসে মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক গড়ে তোলেন। ক্লিনিকের মালিক আবুল বাশারের পরিচালনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই এ ক্লিনিকটি গড়ে তোলেন। তিনি ইচ্ছামতো নিয়ম-কানুন তৈরি করে বছরের পর বছর রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছামাফিক ফি। হাতুড়ে টেকনিশিয়ানরা অনেক ক্ষেত্রেই দিচ্ছেন মনগড়া রিপোর্ট। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে তাদের ছত্রছায়ায় এ অবৈধ অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক গড়ে তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দা স্বাধীন মিয়া জানায়, আগে বরগুনার পাথরঘাটায় ট্রালার নিয়ে মাছের ব্যবসা করতো। স্থানীয় কিছু অসাধু আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়া ক্লিনিক করে এবং তিনি এখন করছেন।’ এর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি কোন লাইসেন্স নেই। এরা প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তাদের এ কর্মকান্ড চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই চলছে রোগী দেখা থেকে অপারেশন পর্যন্ত। ক্লিনিকের পরিচালক আবুল বাশার নিজে অপারেশন করছেন এমন অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগী রোগীর। বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর গ্রামের বাসিন্দা সানজিদা পারভিন সিমু বলেন,’ আমার বাবাকে কিছু দিন পূর্বে এ ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার জন্য ভর্তি করি। তারপর ভালো কোন চিকিৎসা না পেয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিমে) ভর্তি করানোর পর সুস্থ হয়। বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের হোটেল ব্যবসায়ী শওকত হোসেন জানায়,’ ক্লিনিকের মালিক আবুল বাসার নিজে অশিক্ষিত হয়ে সিজার করে গর্ভের একাধিক সন্তান নস্ট করেছে। ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এরা ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। রোগী অন্য কোথাও পূর্ণ রিপোর্ট করে সেটি প্রমাণিত হলে অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় দফারফা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এ ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগের কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। নেই কোন জরুরি বিভাগ, নেই রোগ নির্ণয়ের মানসম্মত যন্ত্রপাতি, পরীক্ষাগার বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট। মাঝে মধ্যে ধার করা পার্টটাইম চিকিৎসক দিয়ে চলছে জটিল অপারেশনসহ নানা চিকিৎসা। কম বেতনের অনভিজ্ঞ নার্স, আয়া ও দারোয়ানই হচ্ছে এ ক্লিনিকের একমাত্র ভরসা। কম্পিউটারাইজড, পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক নামে নামিদামী চিকিৎসকদের নাম সংবলিত চোখ ধাঁধানো ব্যানারসহ ডিজিটাল সাইনবোর্ড সর্বস্ব এ ক্লিনিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য এসে অপচিকিৎসার জালে আটকা পড়ছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সহজ-সরল অসহায় মানুষগুলো প্রতিনিয়তই তাদের পাতা ফাঁদে আটকে নিঃস্ব হচ্ছেন। এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসার কথা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে বলা হলেও তাদের কেউ কেউ মাসে দু-একবার এসে অপারেশন করে চলে যান। এ ক্লিনিকে নিয়মিত কোন চিকিৎসক থাকেন না। এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ভাঙিয়ে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। জেলা কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং কিংবা জবাবদিহি না থাকায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। উপজেলা প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি। যে কারণে এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালুর পর থেকে অবৈধ কর্মকান্ড রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালাক আবুল বাশারের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ক্লিনিকে যেয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তাঁর মুঠোও বন্ধ পাওয়া যায়। ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনার পদে দায়িত্ব থাকা সোহাগ হাওলাদার জানায়, পরিচালক আবুল বাশার গত তিন সপ্তাহ যাবত বরিশাল গেছেন। ফোন কেন বন্ধ করে রেখেছে এ বিষয় আমি কিছু বলতে পারবো না।’ তবে ক্লিনিকের বিষয় মালিকের অনুমতি ছাড়া তিনি কোন তথ্য দিতে চায়নি।’ এ বিষয় বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন,’ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ‘ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেং মং বলেন, ‘ বেতাগীতে ৫ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের দুটিতে লাইসেন্স থাকলেও মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন কাগজপত্র নেই। ‘ তিনি আরো বলেন, ‘ এ অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখবো অপরাধমূলক কোন কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com