বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা প্রতারণা ও জালিয়াতি করেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে যশোরের প্রতারক মিঠু স্কুল কলেজের আধুনিক শিক্ষার ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষাকেও কর্মমূখী শিক্ষায় রুপান্তর করতে হবে-এম. জহির উদ্দিন স্বপন বিসিসিআই’র রেজিস্ট্রার খাতা ছিনতাইয়ের সময় গণধোলাইর শিকার হলেন শেখ রহিম আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় মন্দির ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করে মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-জহির উদ্দিন স্বপন দেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী ইচ্ছা অনিচ্ছায় পরিবর্তন হতে পারবে না–খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম জহির উদ্দিন স্বপন
পায়রা সেতুতে ৪৫ কোটি টাকা ছাড়ের আবেদন

পায়রা সেতুতে ৪৫ কোটি টাকা ছাড়ের আবেদন

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড়ের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে আবেদন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) প্রকল্পের আওতায় মোট বরাদ্দ ২৬২ কোটি টাকা। এর মধ্য থেকে চতুর্থ কিস্তিতে সাড়ে ৪৫ কোটি টাকা ছাড়ের আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। টাকা ছাড়ের আবেদন করে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম জানান, চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২৬২ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১৩৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। ছাড়কৃত অর্থ থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাত থেকে ৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এখন ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা জমা আছে। ফলে ২০২১ সালের জানুয়ারির বিল পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিধায় চতুর্থ কিস্তি বাবদ টাকা ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবকৃত অর্থছাড় করা হলে সম্পূর্ণ অর্থ পূর্ত কাজের বিল পরিশোধে ব্যয় করা হবে। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দীর্ঘতম সৌন্দর্যমণ্ডিত ও দেশের দ্বিতীয় এক্সট্রাডোজ ক্যাবল বক্স গার্ডার পায়রা (লেবুখালী) সেতু ২০২১ সালের জুনে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে পূর্ত কাজে এই অর্থ ব্যয় হবে। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। এরইমধ্যে সেতুর ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নির্মাণাধীন পায়রা সেতুতে পদ্মাসেতু থেকেও ৫০ মিটার বড় দুইটি স্প্যান বসানো হবে। নান্দনিক এক্সট্রাডোজ ক্যাবল বক্স গার্ডার ব্রিজটিতে নদীর মধ্যে মূল ব্রিজ হবে ৬৩০ মিটার। এজন্য ২০০ মিটারের দুটি স্প্যান ও দু’পাশে দুটি স্প্যান ১১৫ মিটার করে হবে। যা দেশের সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মাসেতু ব্রিজের স্প্যানের থেকেও বড়। চারলেন বিশিষ্ট এক হাজার ৪৭০ মিটার (চার হাজার ৮২০ ফুট) দৈর্ঘ্যের ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার (৬৪ দশমিক ৮ ফুট) প্রস্থের এক্সট্রা বক্স গার্ডার ব্রিজটির উভয় দিকে সাত কিলোমিটারজুড়ে নির্মাণ করা হবে অ্যাপ্রোচ সড়ক। ব্রিজটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এছাড়া সেতুটি নদীর জলতল থেকে ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু হবে। ফলে নদীতে নৌ-যান চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না। সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত হবে সেতুটি। বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর ‘লেবুখালী সেতু’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দার উম্মুক্ত হচ্ছে সর্বদক্ষিণের। এ সেতুকে ঘিরে পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন ছোট-বড় নানা ধরনের ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেল, তেল পাম্পসহ এমনকি জমির মালিকরাও। কুয়েত সরকারের অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে চায়নার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান চাইনিজ কোম্পানি সেতুটি নির্মাণ করছে। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে সেতুটির কাজ। এ কাজ সম্পন্ন হলে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। পটুয়াখালী-বরিশাল চলাচলকারী গণপরিবহনের চালক নিজাম বলেন, সেতুটি চালু হলে আর কোনো ভোগান্তি থাকবে না। পদ্মাসেতুও প্রায় হয়ে গেছে। এরপর আমরা দিনে দু’বার আসা-যাওয়া করতে পারবো। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পটুয়াখালী পৌঁছানো যাবে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক গুণ সহজ হবে। ২০১২ সালের ৮ মে একনেক সভায় প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদন লাভ করে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা নদীর ওপর পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com