দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার জন্য ফের অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এই অনুরোধ জানান। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। সেক্রেটারি ব্লিনকেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন টেলিফোনে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলাপ করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও রোহিঙ্গা সংকটে পাশে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান মোমেন। টেলিফোন আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যোগ দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনকে আমন্ত্রণ জানান। ড. মোমেন করোনাকালে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সেক্রেটারি ব্লিনকেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করার উপায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সাধারণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তারা দু’জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও শ্রম ও মানবাধিকারের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। সেক্রেটারি ব্লিনকেন ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশতম বার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া ও বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিবিড় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আবার বৈশ্বিক নেতৃত্বে ফেরত আসবে বলে আশা করে বাংলাদেশ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বজায় রাখার জন্য নতুন মার্কিন সরকারকে অভিনন্দন জানান মোমেন। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে স্ট্র্যাটেজিক স্তরে নেওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উভয় দেশের সর্ব্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতাদের সফরের ওপর জোর দেন। মোমেন আশা প্রকাশ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্রুত বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। আলোচনার শুরুতে সরাসরি কথা না বলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ব্লিনকেন। উভয় নেতা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আরও গভীর করার ইচ্ছে ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন, সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেন্দেজসহ আরও কয়েকজন সিনেটরের সঙ্গে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পৌঁছানোর পরে টেলিফোনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সঙ্গে কথা বলেন মোমেন।
Leave a Reply