কলাপাড়া প্রতিনিধি ॥ পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তির মাটি কাটায় বাধা দিলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে বাবা মায়ের সামনে বেধরক মারধর করা হয়েছে। মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া জমি চাষাবাদ করতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকীসহ বিভন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান এমন অভিযোগ এনে সাবেক সংসদ সদস্য মৃত আনোয়ার উল ইসলামের ছেলে দুই সহোদর আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটন ও মেজবাহ উদ্দিন তপন’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তোভোগী আ: হালিম সন্যামত। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন করে । এসময় তার বৃদ্ধ পিতা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অবসারপ্রাপ্ত লাল মোহম্মদ সন্যামত, মাতা মোসা.সালমা বেগম ও তার ছোট ভাই মামুন উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য বলেন, উপজেলাধীন লালুয়া মৌজায় তার পিতা লাল মোহাম্মাদ সন্যামত ১৯৮৯ সালে দুটি দলিল মূলে মোট ১.৬৫ একর জমি ফুল গাজী ও আর্শ্বেদ গাজীর নিকট থেকে ক্রয় করেন। সরকারের সমস্ত খাজনাদি পরিশোধক্রমে নির্দিষ্ট সীমানায় শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘ ৩৩ বৎসর যাবত ভোগদখল করে আসছেন। দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রতিপক্ষদ্বয় গোপনে ১৯৯৮সালে ওভার সেল দলিলের মাধ্যমে উক্ত জমির বি.এস রেকর্ড করে ক্ষমতার অপব্যবহার কওে দখল নেয়ার চেষ্ঠা চালায়। অথচ বি.এস রেকর্ডের ৩০ ধারার মাঠ জড়িপে সাবেক এস.এ দাগ ৩৩০ যা বি.এস দাগ ৩৫৪৩ এর সম্পূর্ন জমি আমাদের অনুকুলে থাকলেও বি.এস রেকর্ডের ৩১ ধারার ফাইনাল পর্চা প্রতিপক্ষের নামে কিভাবে আসলো তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি নজরে আসার পরে বি.এস রেকর্ড সংশোধন করার জন্য একটি মামলা চলমান রয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিপক্ষদ্বয় ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে আমার বাবার ক্রয়কৃত উক্ত সম্পত্তিতে বেকু দিয়ে মাটি কাটতে গেলে আমি বাধা দেই। এক পর্যায় আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারধর করে। আমার চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এবিষয় নিয়ে আমার বাবা লাল মোহাম্মাদ সন্যামত বাদী হয়ে কলাপাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও আমি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করি। পরে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে উক্ত জমির মাটি কাটতে নিষেধ করে আসলেও তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের কাজ অব্যাহত রাখেন। এছাড়া মামলা তুলে নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনে চাপপ্রয়োগ করছেন। এছাড়াও উক্ত জমি চাষাবাদ করতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকীসহ বিভন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান বলে তিনি সংবাদ সম্মেলেন উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটনের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার ছোট ভাই মেজবাহ উদ্দিন তপন’র সাথে সাংবাদিকরা আলপ করলে তিনি বলেন, আমরা কারো জায়গা দখল করি নাই। আমাদের জায়াগাই আমরা ঘের করছি। অন্য কারো জায়গায় নয়।
Leave a Reply