নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেনের বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ল্যাংড়ামুন্সির পুল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্রবধূ মোসা. ফারজানা ওরফে ইমা (২৪) অভিযোগ করেছেন আতিকুর রহমান ওরফে মোহনের (৩০) নেতৃত্বে মামুন (৩৩) রিপন (৩৫), ওলি (৩৭), শান্ত (৩৮), নাসির (৩৫), বশার মৃধা (৪৮), পঙ্কজ (৩৫), তুহিন (৩৬), শাহিন (৩৩) নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল ওই হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। আতিকুর রহমান মোহন দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (একাংশ) সভাপতি মোসা. নিলুফা বেগমের এর ছেলে। স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালে ইউপি নির্বাচন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আতিকুর রহমানের পরিবারের বিরোধ চলে আসছে। সর্বশেষ ওই ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন।ওই সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আতিকুরের বাবা মো. জামাল হোসেন মৃধা। তিনি (জামাল হোসেন) ওই নির্বাচনে হেরে যান। আতিকুরের বাবা প্রায় দেড় বছর আগে মারা যান। এখন আতিকুর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া। পুত্রবধূ ফারজানা বলেন, তাঁরা গতকালকে তাঁদের এক স্বজনের বাড়ি থেকে দাওয়া খেয়ে বিকেলে বাড়িতে ফেরেন। পোশাক পরিবর্তন করে তিনি ও তাঁর তিন বছরের ছেলে, শাশুড়ি মোসা. রাশিদা বেগম (৫০) ও খালা শাশুড়ি মোসা. রেহেনা বেগম (৪২) বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আতিকুর রহমান মোহনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল ঘরে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙচুর করতে থাকে। তখন তাঁরা ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আতিকুর রহমান মোহনের অত্যাচারে তাঁর অনেক কর্মী-সমর্থক এলাকায় থাকতে পারছে না। তিনিও আতংঙ্কে আছেন। গত রোববার সকালে আতিকুর রহমান মোহন তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লাঠিসোঁটা ও দা নিয়ে তাঁর বাসার সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। তাঁকে উদ্দেশ করে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এ কারণে তিনি ওইদিন থেকে বাড়িতে যান না। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই গতকালকে তাঁর ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করার সাহস পেয়েছে।’ এ ব্যাপারে আতিকুল ইসলাম মোহন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি স্থানীয় এমপি’র সাথে একটি দলীয় মিটিংএ ছিলাম। তাঁরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার ও আমার লোকজনের ওপর চাপাতে চায়। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply