দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন। গাজীপুরের ডিসি এসএম তরিকুল ইসলাম গত শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই সদস্যের ওই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা। ডিসি বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোনো অবহেলা ছিল কি না মূলত তা খতিয়ে দেখতেই আভ্যন্তরীণভাবে এ কমিটি করা হয়েছে। এ ছাড়া তার মৃত্যুতে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা তার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞরা জানাবেন। গত বছরের ৬ মে মুশতাককে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের। গত শুক্রবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাকের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গত শুক্রবার রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে লালমাটিয়ার সি ব্লকের মিনার মসজিদে মুশতাক আহমেদের জানাজা হয়। জানাজায় তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা অংশ নেন। পারিবারিক উদ্যোগে ওই জানাজা শেষে মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে নেয়া হয়। মুশতাক আহমেদের চাচাতো ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, মুশতাক আহমেদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এর আগে যারা মারা গেছেন তাদেরকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। এর কারণে পরিবারের সিদ্ধান্তে তাকে সেখানে সমাহিত করা হয়েছে। এদিকে বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ মুশতাক আহমেদের স্ত্রী লিপা আক্তার। মুশতাকের মৃত্যুর সময় তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
Leave a Reply