নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কারাবন্দি অবস্থায় লেখক ও কার্টুনিস্ট মুশতাক আহমেদ হত্যা, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল এবং ঢাকায় চলমান আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বরিশালে বাসদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল -বাসদ বরিশাল জেলার উদ্যোগে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক ও কার্টুনিস্ট মুশতাক আহমেদ হত্যা, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল এবং ঢাকায় চলমান আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ বরিশাল জেলার সদস্য কাজল দাস এর সভাপতিত্বে এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন আহমেদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক, সহ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বরিশাল রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক সুশান্দ সুকুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সভাপতি সাগর দাস, সদস্য নীলিমা জাহান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি সন্তু মিত্র, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমদাদুল্লা। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কবি ও লেখক হেনরী স্বপন। এ সময় বক্তারা বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটির মত কালো আইনে গ্রেফতার করে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক ও কার্টুনিস্ট মুশতাক আহমেদ হত্যা এটাই প্রমান করে সরকার বিরোধী মতের প্রতি কতটা অসহিষ্ণু। ৫৩ বছর বয়সী ও শারীরিক ভাবে অসুস্থ লেখক মুশতাক আহমেদের পক্ষে তার আইনজীবী আগস্ট মাস থেকে ১০বার জামিন আবেদন করেও জামিন পাননি। অর্থাৎ রাষ্ট্র মোশতাক আহমেদকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। বক্তারা মোশতাক হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য প্রনীত ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের মত কালো আইন বাতিলের জন্য বক্তারা দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনের সাথে তাদের একাত্মতা প্রকাশ করেন। বক্তারা আরো বলেন, ঢাকায় চলমান আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেফতার সরকারের ফ্যাসীবাদী চরিত্রেরই বহি:প্রকাশ। ঢাকায় মোশতাক হত্যার বিচার দাবির মশাল মিছিলে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের মিছিলে পুলিশের হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স ও অর্থ সম্পাদক মুক্তা বাড়ৈসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। বক্তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা অবিলম্বে লেখক ও কাটুনিস্ট মুশতাক আহমেদকে এই রাষ্ট্রীয় হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের মত কালো আইন বিলুপ্তের দাবি জানান।
Leave a Reply