নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার চন্দমোহনে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের চেষ্টা, সফল না হয়ে তাদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার নিত্যানন্দ পাথর ও বিএনপির সভাপতি মৃত: আনিচ রাঢ়ীর ছেলে ফয়সাল রাঢ়ী বিরুদ্ধে।এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। গত ২০ ফেব্রুয়ারী বিকালে ফয়সাল এবং নিত্যানন্দ পাথর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিজেন্দ্র মাঝির ঘর ভাংচুর করে। খবর শুনে তার ভাই দিনেশ মাঝি এসে প্রতিবাদ করলে তার ঘর ও ভাংচুর করে এবং প্রাননাশের হুমকি দেয়। পরে তারা বন্দর থানা পুলিশকে জানালে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও কোন আইনী ব্যবস্থা করেনি। উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় বিজেন্দ্র মাঝি ও দিনেশ মাঝির পৈত্তিক সম্পত্তি র্দীঘ বছর ধরে দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছে ঐলাকার ফয়সাল এবং নিত্যানন্দ পাথর। পরে বিজেন্দ্র মাঝি তারা তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বরিশাল জজ কোর্টে ২০০৭ সালে একটি মামলা করে যা চলমান রয়েছে। শুধু তাই নয় বিজেন্দ্র মাঝির জমির খাজনা, রেকর্ড, বিএসসহ সব কাগজ পত্রে তাদের নামে রয়েছে। তার পরে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের মিশনে রয়েছে তারা। এদিকে নিত্যানন্দ পাথর বরিশাল বন্দর থানায় বিপ্লব মাঝি, দিনেশ মাঝি, বিজেন্দ্র মাঝি, দিপাকংর মাঝি, সুজাকর মাঝিকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে বন্দর থানা উভয় পক্ষকে একটি নোটিশ দেন। নোটিশে উল্লেখ্য করা হয়েছে, বাদী বিজ্ঞ আদালতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এম.পি মামলা দায়ের করিয়েছেন। উক্ত এম.পি মামলাটি আদালতে মাধ্যমে নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত আপনার উভয় পক্ষ বিরোধীয় সম্পতিতে সকল প্রকার কাজকর্ম হইতে বিরত থাকিবেন। কিন্তু নিত্যানন্দ পাথর ও তার সহযোগী ফয়সাল রাঢ়ী, ফয়েজ সিকদার, সোহেল রাঢ়ী, উত্তম পাথর সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী ২০’শে ফেব্রুয়ারী বিকালে বিজেন্দ্র মাঝির ঘরবাড়ি ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় বিজেন্দ্র বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
Leave a Reply