পাথরঘাটা প্রতিনিধি ॥ বরগুনার পাথরঘাটায় স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ আনেন। উপজেলার পাথরঘাটা ও কাঁঠালতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাদের। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাবির হোসেন দাবি করেন, সঠিক নিয়মেই কমিটি করা হয়েছে। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার পাথরঘাটা উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও একটি পৌর কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাকিল আহমেদ ওরফে শিবু সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, পাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিতে রাজার পুত্র মো. ইব্রাহিম খলিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পাঁচ মাস আগে সম্মেলনকালে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ছিলেন। অথচ তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি আলহাজ আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত ১৯৭১ সালে সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের একটি তালিকা প্রদর্শন করা হয়। তালিকার ৮ নম্বর ক্রমিকে মো. ইব্রাহিম খলিলের বাবা আবদুর রহিম ফকিরের নাম রয়েছে। একই তালিকায় কাঁঠালতলী ইউনিয়ন কমিটির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, পিতা মোজ্জামেল হোসেন (তালিকায় ক্রমিক ৩৭) এবং সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াসউদ্দিন নিরু, পিতা আবদুল খালেক শিকদারের (তালিকায় ক্রমিক ৩১) নাম রয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরাঙ্গনা পুত্র মন্মথ রঞ্জন মিস্ত্রি ও মো. মিজানুর রহমান আবু এবং উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. রেজাউল কবির মিরাজ। পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাবির হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও সঠিকভাবে উপজেলা কমিটিসমূহ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দুজন ১০ বছর ধরে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। হঠাৎ এমন অভিযোগ অনভিপ্রেত। যদি স্বাধীনতাবিরোধী হয় সে বিষয়টিও সংগঠন তদন্ত করে দেখবে।
Leave a Reply