দখিনের খবর ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও সমস্যার বাস্তব সমাধানে কাজ করার কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে হত্যাকাণ্ড ভারতের মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই দুঃখজনক। কিন্তু আমরা নিজেদের প্রশ্ন করেছি, সমস্যার মূল কারণ কি এবং এটি হচ্ছে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।’ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুপক্ষের লক্ষ্য হওয়া উচিত অপরাধবিহীন সীমান্ত, যাতে হত্যাকাণ্ড না হয়। আমার ধারণা আমরা দুপক্ষ এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো। দুই দেশের সম্পর্ক ৫০ বছর পার হয়ে গেছে এবং সামনের দিনগুলোতে সম্পর্ক কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি না। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন ৫০ বছর পার হয়ে গেছে এবং পরের ২০ বছর কি করা যেতে পারে। আমি বলবো কনেক্টিভিটি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি হচ্ছে উৎপাদনশীলতা। যদি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কানেক্টিভিটি ঠিক রাখতে পারি, তবে এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভূ-অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। এক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর খুব কার্যকর। আমরা দুই পক্ষই বিশ্বাস করি এটি করা সম্ভব।’ দুই মন্ত্রীর মধ্যে বড় একটি সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। সম্ভাব্য দেশ হিসেবে জাপানের নাম এসেছে। কারণ, ওই দেশের সঙ্গে আমাদের দুই দেশেরই সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে জাপানের সংযুক্তি প্রকল্প রয়েছে। সম্পর্কোন্নয়নে আমি কানেক্টিভিটিকে বড় লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করি।’ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে জানতে চাইলে সংক্ষিপ্ত উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পানি নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই পানি সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। সফরের অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে উল্লেখ করে জয়শঙ্কর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে আমি এসেছি। কোভিড শুরু হওয়ার পর, এটি হবে তার প্রথম বিদেশ সফর এবং বাংলাদেশে দ্বিতীয়।’ উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা আসার কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির।
Leave a Reply