দখিনের খবর ডেস্ক ॥ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে ‘জাসদ থেকে আসা হাইব্রিড’ উল্লেখ করে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা বলেছেন, তাদের এ কমিটি আমরা মানি না। আমরা গঠনতান্ত্রিক উপায়ে এখানে কমিটি করেছি। সেই কমিটির নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ চলবে। এটিই হলো শেষ কথা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আবদুল কাদের মির্জা। এসময় তার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলকে সভাপতি এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুসকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাটে ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, লুটপাট, মুজিবশতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ এনে পৌর চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন আবদুল কাদের মির্জা। এসময় কাদের মির্জা আরও বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি, আমি জনগণের পক্ষে কথা বলছি। প্রতিপক্ষ কথা বলছে নিজস্ব স্বার্থে। তবে জাতীয় নেতারা কেন চুপ করে আছে, তা আমি জানি না। তিনি বলেন, যারা অপরাজনীতি করে, তাদের সঙ্গে আমি রাজনীতি করতে পারব না। আমি আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকতে না পারলে শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করব। দলের বর্তমানে এ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক দুজন জাসদের লোক। দুজনই গণবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তারা দলে হাইব্রিড। খিজির হায়াত জাসদের প্ররোচনায় এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। তাদের এ কমিটি আমরা মানি না। আমরা গঠনতান্ত্রিক উপায়ে এখানে কমিটি করছি- যোগ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই কাদের মির্জা।
Leave a Reply