শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
আলীগের বর্ধিত সভায় মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত, চেয়ার ছোড়াছুড়ি

আলীগের বর্ধিত সভায় মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত, চেয়ার ছোড়াছুড়ি

বরগুনা প্রতিনিধি ॥ প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বরগুনার কেওড়াবুনিয়া ডাকা বর্ধিত সভায় হট্টগোল ও চেয়ার ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকরা সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে চেয়ার ছুড়ে লাঞ্চিত করেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ওলি উল্লাহ ওলিকেও লাঞ্চিত করেছেন ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রকৃয়ার অংশ হিশেবে সোমবার বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়া বুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভায় ডাকে। ইউপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আওয়ামী লীগেরর মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আমন্ত্রণ ছিল। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধারা আমন্ত্রিত ছিলেন। ওই সভায় যোগদান করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ওলি উল্লাহ ওলি। তিনি বর্ধিত সভাটি পরিচালনা করছিলেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, জেলা পরিষদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা দারুল ইসলাম মাস্টার ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীবেশ কয়েকজন সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে কেওড়া বুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আসে। শুরুতেই মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বক্তব্য তুলে ধরেণ। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বক্তব্য শেষে আমন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে একজনকে বক্তব্য রাখার জন্য বলা হয়। সেখানে উপস্থিত বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের জেলার সাংগঠনিক কমান্ডার মোঃ দুলাল মিয়া বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বক্তব্য শুরু করতেই মনোনয়ন প্রত্যাশী মনিরুল ইসলাম নসা তাঁকে বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকটি শুরু হয়। একপর্যায়ে নসার সমর্থকরা দুলালকে উদ্দেশ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারতে শুরু করে। উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবাদ করলে তাদেও উদ্দেশ্যেও চেয়ার ছুড়ে মারে নসার সমর্থকরা। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সভা পন্ড হয়ে যায় এবং সদর উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ওলি উল্লাহ ওলি সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। নসার সমর্থকরা চেয়ার ছুড়ে তাকেও লাঞ্চিত করে। সমর্থকদের নিয়ে সভা ত্যাগ করে চলে যান মনিরুজ্জামান নসা। পরবর্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নেয় এবং পুলিশের উপস্থিতিতে ফের সভার কার্যক্রম শুরু হয়। দারুল ইসলাম মাষ্টার বলেন, ‘আমরা লাঞ্ছিত হয়েছি, দেশ মাতৃকার মুক্তির সংগ্রামের ঝাঁপিয়ে পরে বিজয়ের পতাকা ছিনিয়ে আনা বীরদের এভাবে যে লাঞ্ছিত করতে পারে নীতিগতভাবে তার আওয়ামী লীগের নাম উচ্চারণের ও অধিকার নাই। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করছি’। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, ‘ সভার শুরু থেকেই মনিরুজ্জামান নসা ও তাঁর সমর্থকদের আচরণ অসৌজন্যমূলক ছিল। আমি কথা বলতে শুরু করলেই নসার নির্দেশে সমর্থকা আমার উপর চড়াও হয়ে চেয়ার ছুড়ে আমায় আহত করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিশেবে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু থাকতে পারেনা। আমরা আওয়ামী লীগের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি’। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিশেবে অওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি মনিরুজ্জামান নসা বলেন, সভায় ওই ইউনিয়ন থেকে গতবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে হেরে যাওয়ায় মারুফ মৃধা আমার বক্তব্যের সময় উষ্কানীমূলক বক্তব্য রাখেন এবং আমার বক্তব্যও সময়ও সে আপত্তিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মিয়া একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী মোশাররফ হোসেনের ভাই। তিনি এলাকায় বির্তকিত একজন ব্যক্তি। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়ার দাবি উঠলে প্রার্থীর ভাই হিশেবে দুলাল মিয়ার বক্তব্য রাখায় আমি আপত্তি জানাই। এ নিয়ে তর্কেও একপর্যায়ে দুলালই আমার দিকে চেয়ার ছুড়ে মারে। পওে আমার সমর্থকরাও প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে আমি সমর্থকদের নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করি। বরগুনা সদও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ওলি উল্লাহ ওলি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহত দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সভায় বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তিতে সব ঠিক করে আমার সভার কার্যক্রম শেষ করেছি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com