বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ফসলের মাঠে ফেলে রাখা বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে নওশের খন্দকার (৬০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ের বিপরিতে ফসলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নওশের ওই এলাকারই বাসিন্দা। ওই এলাকার বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শি স্কুল শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, ফসলের মাঠের মাটি ঘেঁষে বিদ্যুতের তার টেনে নিয়েছে বিদ্যুত বিভাগ। ফসলের মাঠে একটি বাচচা গরু ঘাঁস খেতে গিয়ে ফেলে রাখা তারের ষ্পর্শে বিদ্যুতায়িত হয়। নওশের খন্দকার বাচচা গরুটিকে ছাড়াতে গিয়ে বিদ্যুষ্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাইনম্যান মোঃ কবির মিয়াকে আটক করে এলাকবাসী। এছাড়াও বরগুনা বিদ্যুত বিভাগের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসীর রোষানলে পড়েন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তিনি ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষতিপূরণের আশ^াস দেয়ার পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই এলাকার ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান টুটুল অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুত বিভাগ প্রায় একবছর ধরে গাছের সাথে বেঁেধ পাঁচশ ফুট বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একধিকবার বিদ্যুত বিভাগের সাথে কথা বলেছি, লিখিত অভিযোগ করেছি। আমাদের অভিযোগ আমলে নেয়নি বিদ্যুত বিভাগ। এই মর্মান্তিক মৃত্যুুর ঘটনায় বিদ্যুত বিভাগ দায়ি। এই মৃত্যুর দায় বিদ্যুত বিভাগ এড়াতে পারেনা। আমরা এলাকাবাসী ক্ষতিপূরণসহ বিচার দাবি করছি। যোগাযোগ করা হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরগুনা উপ মহাব্যবস্থাপক সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওই এলাকার লাইন সংষ্কার করছেন ঠিকাদার কবির হোসেন। তিনি জানান, লাইনম্যানের ভুলের কারণে লাইনটি বিদ্যুতায়িত ছিল। যে কারণে দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কবির হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে এসেছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
Leave a Reply