মঙ্গলবার, ২৩ Jul ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
মঠবাড়িয়ায় মিথ্যা মামলায় বৃদ্ধ শিক্ষককে ফাঁসানোর অভিযোগ

মঠবাড়িয়ায় মিথ্যা মামলায় বৃদ্ধ শিক্ষককে ফাঁসানোর অভিযোগ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মঠবাড়িয়া আঃ ওহাব মহিলা আলিম মাদ্রাসার সহকারি মৌলভি মাওলানা নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে শ্লিলতাহানী ও যৌন হয়রানির নামে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার।
জানা যায়,মামলায় অভিযুক্ত পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ধুপতি গ্রামের নূর মোহাম্মদ একজন বৃদ্ধ শিক্ষক।তাছাড়া তিনি নানা রোগে আক্রান্ত।তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ন সাজানো ও মিথ্যা অভিযোগে মামলা করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও আইনিভাবে হয়রানির অপচেষ্টা চলছে।তিলকে তাল করে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে ফায়দা হাসিলের জন্য অর্থলোভী একটি চক্র বয়োবৃদ্ধ শিক্ষক নূর মোহাম্মদকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে দাবী করেণ এলাকাবাসী ও তার পরিবার।
অধ্যক্ষ বরাবর ছাত্রীর বাবা এমাদুল হকের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,১৫ এপ্রিল, সোমবার মাদ্রাসা চলাকালীন মাদ্রাসার সহকারি মৌলভি মাওলানা নূর মোহাম্মদ ২য় প্রিয়ডে দাখিল নবম শ্রেনীর কক্ষে পাঠদানের সময় অন্য প্রসঙ্গ নিয়া ঐ শ্রেনীর ছাত্রী ইসরাত জাহান লিয়া, রোল নং-০৭ কে অশালীন ভাষায় গালাগালি করে এবং থাপ্পড় দিয়ে ক্লাশ থেকে বের করে দেয়।
ছাত্রীর বাবা মামলার বাদী এমাদুল হক জানান,”অধ্যক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখিত বিষয় ছাড়া সবই মিথ্যা এবং বানোয়াট।এজাহারে উল্লেখিত যৌন হয়রানি বা শ্লিলতাহানির মত কোন ঘটনা না ঘটলেও মামলায় উল্লেখ করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।যারা আমাকে চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা মামলা করতে বাধ্য করছে তাদের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হেমায়েত উদ্দিনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,”মাদ্রাসা ছাত্রীর অভিভাবক এমাদুল হক ১৬ এপ্রিল অফিস চলাকালীন মাদ্রাসায় উপস্হিত হয়ে অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসলে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে অফিস কক্ষে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে স্হানীয়ভাবে সুষ্ঠু সমাধান হয়।এরপর কেন মামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই।তবে মামলা হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎসাহী সদস্য রুম্মান মল্লীককে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহজাহান আলী শেখ জানান,বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি তবে কেউ লিখিতভাবে জানায়নি।
এখন সবার মুখে মুখে একটিই প্রশ্ন,তাহলে কি চাপের মুখেই বৃদ্ধ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লিলতাহানীর মামলা করছে ছাত্রীর বাবা? বৃদ্ধ এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা মানতে পারছে না তার পরিবার ও এলাকাবাসী।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com