বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে আবার গড়ে উঠেছে অপরাধী গ্যাংয়ের স্বর্গরাজ্য। চুরি, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদক চোরাচালানের নিরাপদ রুটে পরিনত হতে চলছে দুই উপজেলার সিমান্তবর্তী এই এলাকা। চর গজারিয়ার ডাকাত খোকন তার বাহিনী নিয়ে মাজে মাজে অবস্থান করে এখানে। স্থানিয়রা জানান, বর্তমানে এই এলাকার মানুষ নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে, তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে জান মালের নিরাপত্তা নেই। এরা অনেকে ভাসমান, নদী ভাঙ্গনের পর চরফ্যাশনসহ বিভিন্ন এলাকায় বাড়ী করলেও আত্মীয় স্বজনের সোর্সে এখানে অবস্থান করে অপরাধে জড়িত হয়। দুই থানা প্রশাসনের সমন্নয় হীনতার কারণে অপরাধীরা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মামলা করেও প্রতিকার পাওয়া যায়না। নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকে জানান, ডাকাত হিসেবে পরিচিত শামছুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি বাহিনী রয়েছে। ১৫/২০জনের এ বাহিনীতে চিহ্নিত যাদের নাম জানা গেছে তারা হলো-জসিমউদ্দিন ওরফে পেটকাটা জসিম, আবরাহাম, হারুন মাঝী (২নং ওয়ার্ড), ডাকাত জামাল, মহিউদ্দিন, মোঃ ফজলু, নুর আলম, সালাহউদ্দিন ও মোঃ মঞ্জু। তজুমদ্দিনের ভুক্তভোগী হানিফ মিয়া জানান, তার ছেলে মোঃ স্বপন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালায়। আমার ছেলেকে হুন্ডাসহ অপহরণ করে দুই দফায় ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। গ্রামপুলিশ মিজানুর রহমান বলেন, কারা অপরাধের সাথে জড়িত সবাই তাদেরকে চিনে। প্রতিবাদ করায় আমিও হামলার শিকার হয়েছি। হাসাননগর ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার জানান, দুই থানার পুলিশ, কোস্টগার্ড, মির্জাকালু পুলিশ ফাঁড়ি ও নৌ পুলিশ সমন্নয় করে চেস্টা করলে অপরাধীদের দমন করা সম্ভব। তজুমদ্দিন থানা কর্মকর্তা ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, স্থানীয়রা তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ঠিকানা পরিবর্তনের কারণে অপরাধীদের আটক করা যায়না। ধাওয়া করলে চরাঞ্চল ও অন্য থানায় আশ্রয় নেয়। বোরহানউদ্দিন থানা কর্মকর্তা ইন-চার্জ মাজহারুল আমিন জানান, অপরাধীদের ব্যাপারে আমরা সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ পাইনি। পাশর্^বর্তী থানার সাথে সমন্নয় করে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply