ছারছীনা থেকে মোঃ আবদুর রহমান ॥ আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা. জি. আ.) বলেছেন- ইসলাম শান্তির ধর্ম। এতে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। যারা ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তারা মূলতঃ ইসলামের কেউ নয়। হয় তারা কারো অর্থে ও স্বার্থে বিপথগামী হয়ে অথবা প্রকৃত অর্থ না বুঝে ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ নিয়ে জঙ্গীবাদ দমনে সক্ষম হয়েছে। তবে ইসলামের সঠিক মর্মবাণী প্রচার করা হলে কোন অপব্যখ্যা করার সুযোগ থাকবে না। গতকাল ছারছীনা দরবার শরীফের ১৩১ তম বার্ষিক মাহফিলের ২৩য় দিন বাদ জোহর হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন। এদিন মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জন্য ইসলামের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন। তিনি তার সময়কালে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা সহ ইসলামের খেদমতেঅনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে একের পর এক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন, কওমী সনদের স্বীকৃতি, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন অন্যতম। তাই তিনি কোন গুজব ও ষড়যন্ত্রের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না। বাংলাদেশে ইসলাম পূর্বে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন ছারছীনা দরবার শরীফের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এবং ইলম ও আমলের গুরুত্ব তুলে ধরে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন- কবরে শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিতভাবে তরীকা মশক করতে হবে এবং সুন্নাত তরীকা মোতাবেক জীবন গঠন করতে হবে। তিনি পবিত্র কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে আমলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন এবং সত্যিকারের মুত্তাকী মুসলমান হবার আহ্বান জানান। দ্বিতীয় দিন বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলাম পিএইচডি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড আব গভর্ণরস এর গভর্নর ড. মুফতী আল্লামা কাফিল উদ্দিন সরকার ছালেহী, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোশারেফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মাদ হোসেন প্রমূখ। মাহফিলের ২য় দিন ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। কোথাও তিল ধারণের ঠাই ছিলোনা। আগামীকাল বাদ জোহর তিনদিনব্যাপী মাহফিলের আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। এদিন হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ কামণা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply