প্রতিনিধি বাউফল ॥ পটুয়াখালী বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আ’লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় দলীয় মনোনয়ন হারানো প্রার্থী ও উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলকাস মোল্লা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী আমীর আলি হাওলাদারের বিরদ্ধে এ সভা করেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাগেছে, গত শনিবার তৃনমূল থেকে বাছাই করে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই মনোনয়ন থেকে বাদ পরেন স্থানীয় সাংসদ আসম ফিরোজ এমপির ভাতিজা ও গত নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী আলকাস মোল্লা। গত ১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে ওই ইউপির আওয়ামীলীগ সভাপতি আমীর আলী হাওলাদারকে দেয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। স্থানীয় সাংসদের ভাতিজা হওয়ায় এবং নির্বাচনের মাঠে পেশী শক্তি ব্যবহার করায় পরাজয়ের গ্লানি সইতে হয় ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি ও নৌকার প্রাথী আমির হোসেনকে। এবছর স্থানীয় সাংসদের হাতে মনোনয়ন না থাকলেও প্রাথমিক ভাবে সুপারিশকৃত তালিকায় গত নির্বাচনের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রাথীর তালিকা পাঠানো হয়। কিন্তু দলের নিবেদিত আমীর হোসেনকেই কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নৌকার প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা করেন। বিষয়টি মেনে না নিয়ে এবারও আলকাস মোল্লা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীতার ঘোষনা করেন এবং চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে ট্রলার যোগে শত শত নারী পুরুষকে পৌর শহরে এনে মিছিল করতে বাধ্য করেন। মিছিলের আগেই ওই বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামীলীগ অফিস জনতা ভবনে উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশকে নিয়ে সভা করেন। ওই সভার আগে সাংবাদিক সম্মেলন আহবান করা হয়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি কম হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন না করে উপস্থিত আওয়ামী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পৌর শহরে বিক্ষোভ করান দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রাথী আলকাস মোল্লা। নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় কার্যালয়ে সভার বিষয়ে আলকাস মোল্লা জানান, গত নির্বাচনে আমি জনগনের প্রার্থী ছিলাম। এবারও আমি জনগনের প্রার্থী। দলীয় অফিসে কেন সভা করছেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আমির আলী হাওলাদার বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়েছি, আমি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় এমপিকে অভিনন্দন জানাই। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সমর্থীত বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে মাত্র কয়েকটি ভোটে হেরেছে। তবে এবার আশাবাদি নৌকার বিজয় হবেই। আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে উপজেলা যুবলীগ সেচ্ছাসেবক লীগ এবং স্থানীয় সাংসদ সমর্থীত ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply