শরফুদ্দিন আহমেদ বাবু ॥ ‘জনগণের থানা সম্পূর্ণ কালিমুমুক্ত হওয়া চাই। থানা হতে হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, নির্ভেজাল ও কালিমামুক্ত। মেট্রোপলিটন এলাকায় জনগণের শান্তি বিঘ্নকারী কোনো দুষ্টের ঠাঁই নেই। সেবাদানে আন্তরিক সদিচ্ছা, স্বচ্ছতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। মাদক, চুরি, দস্যুতাসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আরও বেশি নজরদারি, চেকপোস্ট বাড়াতে হবে। কোনো ধরনের দায়সারা, ঢিলেঢালা নীতি পরিলক্ষিত হলে কঠোর বিভাগীয় শাস্তি নেওয়া হবে’। গতকাল রোববার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সম্মেলনকক্ষে ‘মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা’ সভায় সভাপতির বক্তব্যে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (বিএমপি) মো. শাহাবুদ্দিন খান এ কথা বলেন। সভায় পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিতকল্পে থানায় সেবাপ্রত্যাশীদের প্রতিটি আবেদন শীর্ষ কর্মকর্তারা ফলোআপ নেবেন। প্রো-অ্যাক্টিভ পুলিশিং বাড়িয়ে অপরাধ দানাবাধার আগেই কি করে দমন করা যায় সেই প্রক্রিয়ায় আরও তৎপরতা বাড়াতে হবে। জনগণ আমাদের রোলমডেল হিসেবে অনুসরণ করে থাকে, করোনা টিকা গ্রহণ করে থাকলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি পুরোপুরি মেনে চলতে হবে, যথাযথ নিয়মে মাস্ক বাধ্যতামূলক পরিধান করতে হবে আমাদের আচার আচারণে কোনো শৈথিল্য প্রদর্শন চলবে না’। সভায় বিগত মাসের তুলনামূলক মাসিক অপরাধ বিবরণী,থানায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার খাতওয়ারী গড়ে বিবরণী পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রদেয় নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রগতির জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়। সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) নাসরিন জাহানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর) প্রলয় চিসিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস অ্যান্ড সদর দপ্তর) মো. জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার, উপ পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) এসএম তানভীর আরাফাত, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মো. ছোয়াইব, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) রুনা লায়লাসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর থেকে আসা দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা।
Leave a Reply