মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঁকা ঘর বিতরণেল ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। গত সোমবার (১৫ মার্চ) পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন কাগজ-পত্র পর্যালোচনা করেন। এ সময় দুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধা যাচাই কমিটির সদস্যসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কয়েকজন দুস্থ্য ও বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। পাকা ঘর বিতরণের ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে শহীদ পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক উজ-জামান মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বরাবারে লিখিত অভিযোগ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক অভিযোগটি যাচাইয়ের জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা তারাই এ পাকা ঘর পাবার কথা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে মঠবাড়িয়ায় অবৈধ অর্থ লেনদেন ও প্রভাব খাটিয়ে ঘর নিয়েছেন সচ্ছল ও যাদের সন্তানরা সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন। ঘর নিয়েছেন এসিল্যান্ড ও ইউএনওর শ্বশুর মোস্তফা শাহ আলম দুলাল। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন পদে চাকরি করা স্বচ্ছল সন্তানের পিতা শাহাদাৎ হোসেন রাজা, আবদুল লতীফ সহ বিভিন্ন স্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নেয়ার তালিকায় নাম থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন রাজা ও আবদুল লতীফ হাওলাদারের সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা শাহ আলম দুলাল বলেন, সঠিক নিয়মেই ঘর বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. বাচ্চু মিয়া আকনও সঠিক নিয়মে ঘর বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনিরা পারভীন বলেন, স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ চলছে। শীঘ্রই চূড়ান্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
Leave a Reply