চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ চরফ্যাসনের দুলারহাটে চুরির অপবাদে শাহিন নামের এক যুবককে মধ্যেযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুলারহাট বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল কাদের ও তার ছেলে এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ওই যুবককে সুপারী চুরির অপবাধ দিয়ে আটক করে দুলারহাট বাজারে এনে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের পরপরই নির্যাতনকারী এম এইচ এরশাদ তার ফেইসবকু আইডি থেকে হাতপা বাঁধা একটি ছবি পোষ্ট করলে মুহুর্তের মধ্যেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপার শুরু হয়। ছবিতে দেখায়ায় ওই যুবককে নির্যাতনের পর হাত পা বেঁধে বুকে প্লেকার্ড ঝুলিয়ে রোদে শুয়ে রাখা হয়েছে। এই সংবাদ লেখা পর্যান্ত ওই যুবককের বিস্তারিত পরিচয় জানাযায়নি। জানা যায়,পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ওই যুবক শাহিন দুলারহাটে বেড়াতে আসেন।সকালে দুলারহাট বাজারের মেসার্স হাসান ব্রাদার্সের মালিক আবদুল কাদের ও তার ছেলে এরশাদ আলী ওই যুবক শাহিনকে ঘোষের হাট লঞ্চঘাট থেকে ধরে এনে চোর অপবাধ দিয়ে তাকে হাত পা বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেন। এবং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ না করে ওই যুবককে সকাল থেকে বিকাল পর্যান্ত আটকে রাখেন। বিকাল সাড়ে ৫ টায় এসংবাদ লেখা পর্যান্ত এখনও ওই যুবককে থানায় সোপর্দ করা হয়নি। অভিযুক্ত এরশাদ আলী মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সকালে দোকান থেকে সুপারী চুরি করায় তাকে হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছে। দুলারহাট থানার ওসি মো.মোরাদ হোসেন জানান,বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে ওই যুবককে থানায় সোপর্দ করা হয়নি।
Leave a Reply