নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল নগরীর সড়ক ও জনপদ কোয়াটারে শাহরিয়া সবুজ বাপ্পা নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাম্প চালকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার রাত ১১টার দিকে সড়ক ও জনপদ কোয়াটারের বি টু বাসার তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। কোয়াটারের বাসিন্দা ও পরিবারের স্বজনরা আহত বাপ্পাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন, নিশ্চিত করে পুলিশ। আহত বাপ্পা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বরিশাল সিএন্ডবি রোড সংলগ্ন সড়ক ও জনপদ অফিসের কম্পিউটার অপারেটর শারমিন নাহিদ নুপুর বেগমের ছোট ভাই। আহত বাপ্পার বোন শারমিন জানান, সড়ক ও জনপথ অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে কাজ করার সুবাদে নুপুর তার পরিবার নিয়ে কোয়াটারের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করে আসছেন। ওই কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় অফিসের পাম্প চালকের দায়িত্বে থাকা আব্দুর রাজ্জাক বসবাস করেন। প্রায় সময় আব্দুর রাজ্জাক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে নুপুর ও তার পরিবারের সাথে অশালীন আচরণ করেন। তাছাড়া মাঝেমধ্যে গভীর রাত হলে ঘরের দরজা আটকিয়ে টাকাটাকি করে ঘুম নষ্ট করে দেয়। পাম্প চালক আব্দুর রাজ্জাকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা হলে শারমিন ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় আব্দুর রাজ্জাক। বিষয়টি নিয়ে শারমিন সড়ক ও জনপদের কর্তৃপক্ষসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে আব্দুর রাজ্জাক নিজের ভুল স্বীকার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে বলে মুচলেকা দেয়। কিন্তু কয়েক দিন যেতে না যেতেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শারমিন ও তার পরিবারকে উত্যক্ত করা শুরু করে দেয় রাজ্জাক। রাজ্জাকের এহেন কাণ্ডে তার পরিবার ক্ষুব্ধ। কোয়ার্টারের স্টাফরা জানান, রাজ্জাক একজন মাতাল-নেশাখোর, প্রকৃতির প্রকৃতির লোক। কিছু দুষ্কৃতী লোকের যোগসাজশে এখানে বসবাস করছে। রাজ্জাকের কার্যকলাপে কোয়াটারের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে আছে। রাজ্জাককে সড়ক ও জনপদের কোয়াটার থেকে উচ্ছেদ করা হলে কোয়ার্টারের পরিবেশ ফিরে পাবে বাসিন্দারা। তারা রাজ্জাকের বিচারের দাবিতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। ঘটনার দিন রবিবার রাতে রাজ্জাক তার বাসায় এসে টাকাটাকি করে অনেক শব্দ করেন। তৃতীয় তলার শব্দ দোতালায় আসলে নুপুরের পরিবারের পক্ষে নুপুরের ভাই বাপ্পা তৃতীয় তলায় গিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে শব্দ করতে বারণ করে। এর জের ধরে আব্দুর রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা দা দিয়ে বাপ্পাকে হত্যার চেষ্টায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এমনকি বাপ্পাকে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে দোতালায় গিয়ে শারমিন ও তার পরিবারক ও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয় ও কোয়াটারের বাসিন্দারা বাপ্পাসহ নুপুরদের পরিবারকে উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে গুরুতরভাবে বাপ্পাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মেহেদী জানান, এক স্টাফের ছেলে বাপ্পাকে কুপিয়ে জখম করে ওই কোয়ার্টারে বসবাসরত স্টাপ পাম্প চালক আব্দুর রাজ্জাক শিকদার। তাছাড়া রাজ্জাক একটু উগ্রপন্থীর। কোয়ার্টারে থাকা বাসিন্দাদের সবার সাথে রাজ্জাক খারাপ আচরণ করে আসছে বলে অভিযোগ করেন। কোপানোর ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
Leave a Reply