নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি থেকে ৮টি রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের কারণে ঝালকাঠি থেকে বরিশাল, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া ও খুলনাসহ আট রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে না জেনেই বাসস্ট্যান্ডে এসে বিপাকে পড়ছেন। সকালে ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায়, কেউ কেউ অনেক বেশি খরচ করে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল কেউ আবার অটোরিকশায় গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সোমবার (২২ মার্চ) রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে যাওয়া ঝালকাঠি মালিক সমিতির ৪৫টি বাস রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে রাখা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে থাকা ঝালকাঠি মালিক সমিতির বাসগুলোর চাকা ছিদ্র করে দিয়ে তার ব্যাটারি, তেলসহ যন্ত্রাংশ নিয়ে যায় থ্রি হুইলার (মাহিন্দ্রা) শ্রমিকরা। এ ঘটনায় কয়েকজন বাস শ্রমিক বাধা দিলে তাদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা-পয়সা নিয়ে যায় আলফা শ্রমিকরা। এদিকে ঝালকাঠি জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, বরিশালে প্রশাসনের সঙ্গে দুপর ১টায় শুরু হওয়া ওই সভা কিছু আগে শেষ করে তারা ঝালকাঠিতে এসেছেন। সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস চালাতে বললেও কোনো ধরনের সমাধান না দেওয়ায় গতকালও বাস চলাচল বন্ধ থাকছে। আমরা টিকিট কাউন্টারটি ঘটনাস্থলে ফেরত দিয়ে আসতে বলেছি। আমরা দুষ্কৃতকারী সুমন মোল্লাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি। তাহলে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আর বাস মালিক সমিতি যে সুমন মোল্লাকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি জানান, বাস মালিক সমিতির মদদে তাকে প্রশাসন হয়রানি করছে। এদিকে থ্রি-হুইলার চালক-শ্রমিকরা বলছেন, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির নেতারা চেকপোস্টের নামে নগরের প্রবেশদ্বার কালিজিরাতে গাড়ি আটকে দিচ্ছে। থ্রিহুইলার (মাহিন্দ্রা) থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে তাতে ভাঙচুর এবং চালকদের মারধর করে মোবাইল টাকা রেখে দেওয়া হয়। যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে তারা বরিশাল নগরের রুপাতলীতে সড়ক অবরোধও কর্মসূচিও পালন করেন।
Leave a Reply