ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে নার্সরা প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের গলা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।নবজাতকের গলা ছিঁড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে প্রসবপ্রক্রিয়া শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে নার্সরা পালিয়ে যান। শনিবার (২৭ মার্চ) রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদ করায় রোগীকে মারধর করা হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পেটে মৃত বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে এক নারীকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়। ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকলি গ্রামের প্রসূতির স্বামী জুয়েল জানান, শনিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় স্ত্রী রহিমা বেগমের প্রসব ব্যথা ওঠে। অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে হাসপাতালের নার্সরা রোগী দেখে জানান, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান হবে। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পরে শিশুটির প্রসব করাতে গিয়ে তার গলাসহ মাথা ছিঁড়ে ফেলে নার্স দেবি। পরে নবজাতকের গলা ছিঁড়ে যাওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে সিজার করা লাগবে বলে প্রসবপ্রক্রিয়া শেষ না করে অপারেশন থিয়েটারে মা-শিশুকে রেখে পালিয়ে যান নার্সরা। পরে অন্য নার্সরা এসে রোগীকে বেডে পাঠায়। সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বলেন, শনিবার রাতে মৃত বাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে এক গর্ভবতী ভর্তি হয়। এ সময় তার প্রসব ব্যথা ছিলো। নার্সরা তার নরমাল ডেলিভারি করভন। ডেলিভারি শেষ করার আগে রোগীর জটিলতা দেখা দেয়। তিনি আরও বলেন, পরে সকালে কনসালটেন্ট ডাক্তার এসে রোগীর চিকিৎসা করেন। এই ঘটনায় ভোলা সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়।
Leave a Reply