নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে ৪০৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২১৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে। যা আগের ২৪ ঘণ্টার দ্বিগুণ। আগের ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে ১০৪ জনকে আনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার হিসাব অনুযায়ী, বরিশালে নতুন ২১ জনসহ ৮২ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১৬ জনসহ ৩৯ জন, ভোলায় নতুন ৩৫ জনসহ ৪৯ জন, পিরোজপুরে নতুন ৫১ জনসহ ৮৩ জন, বরগুনায় নতুন ৪৫ জনসহ ৯১ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৪৫ জনসহ ৬৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
বাসুদেব কুমার জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪০৭ জনের অধিকাংশই প্রবাসী। এছাড়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। তবে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিভাগে কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ১৯ জন। যারমধ্যে বরিশালে ১০ জন, পটুয়াখালীতে পাঁচজন, বরগুনায় একজন ও ঝালকাঠিতে তিনজন রয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মী। পাশাপাশি এদের সবাইকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কাজে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহায়তা করছে। আমরা ইউনিয়ন থেকে জেলা পর্যায়ে আমাদের সার্সিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আর সেবিকাসহ চিকিৎকদের নিরাপত্তায় পারসোনাল প্রটেকশন সরঞ্জাম এরইমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, বরিশাল বিভাগে ১০ হাজারের ওপর বিদেশফেরতের যে সংখ্যা শোনা যাচ্ছে, বাস্তবে তার চিত্র ভিন্ন। কারণ ঢাকা কিংবা অন্যত্র থাকেন তারা গ্রামের বাড়ির ঠিকানা এখানে দেখিয়েছেন। কিন্তু তারা বিদেশ থেকে এসে বরিশালে আদৌ আসেননি। তবে সুনির্দিষ্ট করে বিদেশফেরতদের শনাক্ত করতে গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।
Leave a Reply