রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তগড় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তালা প্রতীকে মেম্বর পদ প্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম রিয়াজ মৃধার প্রচার মাইক ও অটো ভাঙচুর ও অটোচালক মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেম্বর পদ প্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম রিয়াজ মৃধা বলেন, আমি ও আমার পরিবারের লোকজন যুগ যুগ ধরে আওয়ামিলীগ দল করে আসছি। এলাকায় আমার প্রচুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাতে আমার প্রতিপক্ষ নব্য আ.লীগ ও জামায়াত-বিএনপি’র নেতাকর্মী পিংড়ি গ্রামের আলমগীর খলিফার ছেলে কাওসার হোসেন ওরফে নয়ন খলিফা (৩৫), এস্কান্দারের ছেলে মুরাদ (৩০) ও জলিল হাওলাদারের ছেলে টুকু হাওলাদারসহ (৩২) অরো অজ্ঞাত ৩/৪ ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পিংড়ি গ্রামের মাঝু হাওলাদারের বাড়ির সামনে প্রচারনায় মাইকসহ অটোগাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং চালককে মারধর করে তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অপকর্মের একাধিক মামলা রয়েছে। এদের কাছে এলাকাবাসী ভয়ে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন সাক্ষি বা থানায় কোন মামলা করার সাহস পাচ্ছে না। এরা এমন কোন খারাপ কাজ নেই যাহা তারা করতে পারে না। প্রতিপক্ষের লোকজন বর্তমানে আমাকে হত্যাসহ আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করার হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে আমাকে এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আমার জনপ্রিয়তা বেশী বলে গত নির্বাচনেও তারা আমার উপরে হামলা ও বিভিন্ন রকম হয়রানি করে আমাকে বিজয়ী হতে দেয়নি। মেম্বর প্রার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম রিয়াজ মৃধা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, সোমবার গভীর রাতে এলাকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে কে বা কাহারা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। সেই বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা মামলা দেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে প্রতিপক্ষের লোকজনের তান্ডবের ভয়ে আমি, আমার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি। অভিযোগের বিষয়ে কাওসার হোসেন ওরফে নয়ন খলিফা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে, এসব ঘটনায় তারা জড়িত না। রাজাপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করেছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply