ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার সাবাঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষিকার চারলাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করে প্রতিবন্ধী শিক্ষিকা ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার দিবাকরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লায়জু আকতারের কাছ থেকে ব্যবসায় বিনিয়োগ করার কথা বলে ২০১৪ সালে লিখিত অঙ্গিকার করে নগদ চারলাখ টাকা ধার নেয় একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ। দুই বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও ছয় বছর অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে। এরই মধ্যে সোহাগ নিজেকে তাগাদার হাত থেকে বাচানোর জন্য তদ্বির করে দিবাকরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সাবাঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে যান। টাকা ফেরত না পেয়ে লায়জু আকতার বিভিন্নজনের কাছে নালিশ দিলে চতুর মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ লায়জুকে নিয়ে নানা আপত্তিকর কথা প্রচার করতে থাকে এবং নানা হুমকি প্রদান করে। লায়জু অভিযোগ করেন, মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের চাকুরী করলেও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারনা করে থাকে। তার বিরুদ্ধে কিছু বললে তিনচারজন সাংবাদিক নিয়ে এসে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখায়। শুধু আমাকে নয় ঝালকাঠি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের স্টাফদেরও নিউজ করার ভয় দেখায়। বিভিন্ন স্কুলে চাকুরী করার সময় সোহাগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষরও জাল করার অভিযোগ রয়েছে সোহাগের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, আমার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে লায়জুদের সঙ্গে বিরোধ আছে। আমি তাঁর কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। আমি একজন শিক্ষক, আমি কোথাও সাংবাদিক পরিচয় দেই না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাঈনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমার কাছে আসলে আমি অভিযোগ সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবো বলে আশা করছি।
Leave a Reply