নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মহামারী করোনার কারণে চলতি ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবুও থেমে নেই সংঘর্ষ। এ নির্বাচনে বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সাধারণ সদস্য প্রার্থীর পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে কথা কাটাকাটি জের ধরে সংঘর্ষে পিতা ও পুত্রকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর এক প্রার্থীর পুত্র ও তার সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ সদস্য প্রার্থী জালাল সাথে নির্বাচন নিয়ে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফোরকান চৌকিদারের বড় নাসির চৌকিদার সাথে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা দু’পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়। ওই ঘটনার রেশ ধরে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফোরকান চৌকিদারের বড় ভাই নাসির চৌকিদার বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। এ সময় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী জালালের পুত্র সুমনের নেতৃত্বে ১৫/২০ সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় অস্ত্র, হাতুড়ি, রামদা, ছেনা ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর হামলা করে। পিতার ডাক চিৎকার শুনে তার পুত্র নোমান চৌকিদার পিতাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটায়। এক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য প্রার্থী জালালের পুত্র সুমন রামদা দিয়ে কোপ দিলে নোমান হাত দিয়ে তা ফিরাতে গেলে হাতে কোপ পড়ে মারাত্মক জখম হয়। স্বজন ও স্থানীয়রা পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক পিতা-পুত্রকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফোরকান চৌকিদার বলেন, গতকাল নির্বাচন নিয়ে আমার বড় ভাইয়ের সাথে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর সদস্য প্রার্থী জালালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আবার গতকালকেই স্থানীয়দের মাধ্যমে তা মীমাংসা হয়ে গেছে। আজ আমার বড় ভাই গরুর জন্য বাড়ির পাশে মাঠে ঘাস কাটতে গেলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী অপর সদস্য প্রার্থী জালালের পুত্র সুমনের নেতৃত্বে ১৫/২০ সন্ত্রাসী মিলে দেশীয় অস্ত্র হাতুড়ী, রামদা, ছেনা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে আমার ভাই ও ভাতিজাকে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, পিতা পুত্রের অতিরিক্ষ রক্ত ক্ষরণের কারণে আশংকাজনক হওয়ায় বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমতলী থানার ওসি মো. শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply