দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনা পরিস্থিতির অবনতির জন্য পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনের প্রচারণায় অবাধ জনসংযোগ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানাকে দায়ী করেছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী। তিনি বলেছেন, বসন্তকালে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেশি হওয়ার পরও জেলায় কয়েকটি মেলা ও বড় সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। সরকারের তরফ থেকে প্রচার করা হলেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না। শুক্রবার (০২ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়ক ছাড়া কোথাও পথচারীদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় সাত লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এর মধ্যে সদর হাসপাতাল মূল চিকিৎসাকেন্দ্র। কয়েক মাসে করোনা শনাক্তের হার ছিল শূন্য। গত ১০ দিনে সারাদেশের মতো ঝালকাঠিতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চারদিনে ২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের অধিকাংশ সুস্থ। এরই মধ্যে ১৮ হাজার ৩৫০ জন টিকা নিয়েছেন। এখনো ৬৫০টি টিকা কর্তৃপক্ষের হাতে আছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি কতটুকু জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি ভালো। সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পিপি, মাস্ক ও স্যানিটাইজার রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাসেবা দিতে কর্মীদের মধ্যে আগে যে ভীতি ছিল; তা এখন নেই।
Leave a Reply