চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মুজিব নগরে জমি জাল দলিল সৃজন করে কৃষকের বসত বাড়ির ও আবাধি জমিসহ ৭ একর ৫০ শতাংশ জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদারের বিরুদ্ধে। ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদারের তান্ডবে বসত ভিটে বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা কৃষক পরিবার। দুলারহাট থানায় জমি জবর দখলের দায়ের করায় আসামীদের অব্যহত হুমকি দামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার। এঘটনায় আদালতে জালজালিয়াতির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে কৃষক মো. মফিজল ইসলাম জানিয়েছেন। কৃষক মো. মফিজল ইসলাম অভিযোগ করেন, মুজিব নগর ইউনিয়নের চর মনোহর মৌজায় এসএ ৩৯৬,৪২০,৩২ ও ৫৬ নং খতিয়ানের মো. হোসেন ১ একর ৫০ শতাংশ ও সুলতান আহমেদের কাছ থেকে ১ একর ৫০ শতাংশ, মনতাজ মিয়া থেকে ৩ একর , আবু জাফর মো, ইউনুছ থেকে ১ একর ৫০ শতাংশ জমি খরিদ করে প্রায় ৫০ বছর ভোগদখলে বিদ্যমান আছেন। ১৯৮২সনে ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদার ৩৭৪ ও ৩৭৩ নং ভূয়া খতিয়ান ব্যবহার করে আবদুর রব মোল্লা ও গোপাল চরন দেবনাথ নামের দুই ব্যাক্তিকে দলিল দাতা সাজিয়ে ৭৩০৮ ও ৭৩০৭ নং দলিল নম্বর উলেখ্যে করে জাল দলিল সৃজন করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে তার ভোগদখলীয় বসত বাড়ির ভিটে আবাদি জমি জবর দখল করেন। পরবর্তীতে ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদার ভূয়া দাগ খতিয়ান ব্যাবহারিত সৃজন করা ওই দলিল ভোলা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে পর্যালচনা করলে তার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে দলিল পর্যালচনা করে পাওয়া যায় খোকন হাওলাদারের জাল দলিলে দাতার সৃজন করা ভুয়া জাল দলিলের মালিক আবদুর রব মোল্লা ও গোপল চরন দেবনাথ নামে কোন দলিল নাই। তার সৃজন করা জাল দলিলের খতিয়ান ও দাগে জমির প্রকৃত মালিক ওই মৌজার রুহুল আমিন ও দিল মোহাম্মদ। খোকন হাওলাদারের জাল দলিল সৃজনের সাথে মফিজুল ইসলামের জমির কোন সংশ্লিষ্টাতা নাই। তার জমি জবর দখল করতে ভুয়া দাতা সাজিয়ে জমির প্রকৃত মালিককে আড়াল করে ভুয়া জাল দলিল সৃজন করে তার খরিদা দখলীয় ৭ একর ৫০ শতাংশ জমি হাতিয়ে নিয়েছেন। ভূমিদস্যু খোকনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মামলা হামলার হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে তার পরিবার। ভূমিদস্যু খোকন হাওলাদারের তান্ডবে শিকার স্থানীয় ভুক্তভোগি একাধীক কৃষক পরিবার অভিযোগ করেন, খোকন হাওলাদারের ভূমিসদস্যুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ধর্ষন মামলাসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি দেন। তার মামলার ফাঁসানো হুমকিতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না বিচ্ছিন্ন চরের সাধারন ভূমিহীন কৃষকরা। অভিযুক্ত খোকন হাওলাদার জানান, অন্যের জমি জাল দলিলের বিষয়টি সঠিক নয়। আবদুর রব মোল্লা ও গোপল চরন দেবনাথের কাছ থেকে জমি খরিদ করেছি। দুলারহাট থানার ওসি মো. মোরাদ হোসেন জানান, ইতি পুর্বে মফিজল ইসলাম বাদী হয়ে খোকনের বিরুদ্ধে একটি জবর দখলের মামলা দায়ের করেছেন। এখন আর নতুন কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply