শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
লকডাউনের খবরে হতাশ আমতলীতে তরমুজ চাষীরা

লকডাউনের খবরে হতাশ আমতলীতে তরমুজ চাষীরা

আমতলী প্রতিনিধি ॥ লকডাউনের খবরে হতাশ আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষিরা। তরমুজের বাম্পার ফলনে চাষীদের মুখে স্বপ্নের হাসি ফুটলেও লকডাউনের খবরে তা অম্লান হতে চলেছে। বিগত বছরের লোকসান কাটাতে ঘুড়ে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখলেও লকডাউনের কারণে সে আশার গুড়ে বালি বলে ধারনা করছে তরমুজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের কারণে গত বছর তরমুজ কম দামে বিক্রি হওয়ায় অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। অনেক চাষী তরমুজ বিক্রি করতে না পারায় ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। এ বছর একই অবস্থা হলে সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তরমুজ বিক্রির দাবী জানান তারা। আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এ বছর আমতলীতে তরমুজের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯’শ ৯০ হেক্টর। ওই লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। গত বছর তরমুজ চাষ হয়েছিল এক হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪’শ ৯০ হেক্টর জমিতে তারমুজ চাষ বেশী হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষীরা বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে তরমুজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তারা। এ বছর তরমুজরে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দাম থাকায় বিগত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠার স্বপ্ন বুনছিল চাষীরা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আগামী সোমবার থেকে দেশব্যাপী সাত দিনের লকডাউন ঘোষনা দিয়েছেন সরকার। এ লকডাউনের ঘোষনায় চাষীরা হতাশ হয়ে পরেছেন। গত বছর ভালো ফলন হলেও লকডাউনের কারণে অনেক চাষি কম মুল্যে তরমুজ বিক্রি করতে হয়েছে। আবার অনেক চাষীর তরমুজ বিক্রি করতে পারেনি। ফলে খেতেই নষ্ট হয়েছে। এ বছরও একই অবস্থা হবে বলে ধারনা করছেন তারা। এ ছাড়া লকডাউনের কারণে এ অঞ্চলের তরমুজ ঢাকা, গাজীপুর, বগুড়া, কুমিল্লা, গাইবান্দা, টাঙ্গাইল ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী বন্ধ হয়ে যাবে ধারনা করছেন চাষী ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা। এতে আরো লোকসানে পড়বে চাষীরা। আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের তরমুজ চাষী আলমগীর আকন, কামাল হাওলাদার, শহীদুল গাজী, মাহবুব মাতুব্বর, লিমন গাজী ও মাহাতুল মল্লিক বলেন, আবার লকডাউন এসেছে। কি হয় আল্লাই জানে। এ বছর আশা করেছিলাম ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করবো কিন্তু তা হয় কিনা জানিনা। তারা আরো বলেন, লকডাউনের কারণে গত বছর তরমুজ কম দামে বিক্রি করেছি। বিক্রি করতে না পারায় অনেক তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। এ বছর এমন অবস্থা হলে সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তরমুজ বিক্রির দাবী জানান তারা। কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী গ্রামের ওহাব মৃধা, বাহাউদ্দিন হাওলাদার ও রাজ্জাক মৃধা বলেন, গত বছর লকডাউনের কারণে পাইকার এসেও তরমুজ ক্রয় করেনি। তাই কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এ বছরও লকডাউন থাকলে তরমুজ নিয়ে বিপাকে পরতে হবে। আমতলী গাজীপুর বন্দরের তরমুজ ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল রানা বলেন, লকডাউন থাকলে পরিবহন সমস্যায় দুর-দুরান্ত থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে আসবে না। এতে স্থানীয় বাজারে তরমুজের চাহিদা কমে যাবে। ফলে দামও কমবে। সব মিলিয়ে তরমুজ নিয়ে চাষীরা মারাত্মক সমস্যায় পরবে। লকডাউনের খবর শুনে ক্ষেত থেকে তরমুজ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, লকডাউনের মধ্যে তরমুজ পরিবহনে যাতে সমস্যা না হয় সেই দিকে প্রশাসনকে নজর দেয়ার দাবী জানাই। আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, লকডাউনের কারণে তরমুজ পরিবহন ও বিক্রিতে সমস্যা হলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আমতলীর তরমুজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে। কৃষকদের যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেই দিকে যথাযথ খেয়াল রাখা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com