পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ স্বামীকে বোতল বন্দীকরে নাজিরপুরে সৌদি প্রবাসী সহ বহু পুরুষদের সাথে পরকিয়া করার অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুরের হামজেদ শেখের মেয়ে ময়নার (২৫) বিরুদ্ধে।নাজিরপুরের স্থানীয় সূত্র নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার মিডিয়াকে বলেন, গত চার মাস যাবত মেদা এলাকার বাবুল সহ সৌদি প্রবাসী মোঃ ইসমাইল হোসেনের সাথে চুটিয়ে পরকিয়া করে আসছিল। বিগত সময়ে স্বরূপকাঠির স্বামীর সাথে ভালো ভাবেই সংসার ধর্ম করে আসছিল চমৎকার ভাবে। অথচ পরকিয়ার কারনে নিজ স্বামীকে এক ধরনের নির্বাসন দিয়ে চুটিয়ে পরকিয়া করে চরম বিতর্কিত ময়না। স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বালিহারী এলাকায় বিয়ে হয়েছিল ময়নার। গত বার বছর ময়নার ঘরে ফুটফুটে দুটো ছেলে মেয়ে আসে। অবশ্য ময়নার সৌন্দর্য অতি মাত্রায় চমৎকার হওয়ার পর থেকেই সংসারে অশান্তির দিন ক্ষনের ঘন্টা প্রায়ই বাজতো উভয়ের মধ্যে। এ নিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলায় পারিবারিক সহ নেছারাবাদ থানায়ও বহু দেনদার হয়। তবে ময়না রূপের মূর্ছনায় নিজেকে একটা কিছু ভাবেন আগে থেকেই। আর সেই সূত্র ধরেই আজকের স্বামীকে রংপুরের মফিজ বানিয়ে নাকে ক্ষত দিয়ে বীরদর্পে পরকিয়া করে য়াচ্ছে। বর্তমান সময়ে অভিযোগ কারী গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আমি ময়নার সাথে বহু দিন পরকিয়া করে আসছি। আমাকে স্বামীর মত ব্যাবহার করে যাচ্ছে। অথচ বিয়ের পিড়িতে বসতে চাচ্ছে না। পরকিয়ার খল নায়ক সুস্পষ্ট ভাবে আরো বলেন, ময়নার চালাকি ধরা খায় প্রায় এক মাস আগে। আমার সাথে গভীর সম্পর্ক থাকার পরও বর্তমানে আর এক সৌদি প্রবাসীর সাথে পরকিয়ার সাথে জড়িত। আমাকে তার স্বামীর মত নাকে খ্যাত দিয়ে বর্তমানে সৌদি প্রবাসীর সাথে চুটিয়ে পরকিয়া করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইমো সেক্স করে দারুণ খোশমেজাজে আছে। এদিকে জেলা প্রতিনিধি সরেজমিনে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ডুবি এলাকায় যান আসল রহস্য উদঘাটন করতে। প্রথমে স্থানীয় লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, ময়না আসলেই রূপের মূর্ছনায় নিজেকে টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ময়নার কাছে প্রশাসন সহ মিডিয়ার লোকজনও সুকৌশলে বন্দী। সর্বশেষ তথ্য মতে প্রায় চার মাস আগে ময়না তুচ্ছ ঘটনার জাল তৈরী করে বর্তমান স্বামীর ঘর থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। তবে বর্তমান স্বামীর সাথে কথা হয় মিডিয়ার সাথে। ট্রলার সুকানি মোঃ মুনির বলেন, ময়নার বিষয়ে আমার কাছে এলাকার বেশীরভাগ লোকজন নানান কথা বলেছেন। আমি তাদের কথায় তেমন কর্ণপাত করতাম না। এমনকি আমার বড় ছেলেও আমাকে নানান কথা বলতেন। বরং আমি বলতাম তোমার মাকে নিয়ে এধরণের বাজে কথা বলা চরম অন্যায়। অথচ আমার নিজ চোখে মোবাইলে বহ কিছু দেখেছি। সর্বশেষ আমি তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করি তুমি কাকে চাও। আমার স্ত্রী ময়না পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে বলে আমি স্বামী ও ছেলে মেয়ে চাইনা।বরং আমি দামী মোবাইলটা চাই। আসলে পরকিয়ার বলি মুনির সহ সৌদি প্রবাসী ও স্বদেশী মক্কেলকে নিয়ে আসক্ত মোবাইল পরকিয়ার কারনে। এদিকে ময়নার পরকিয়ার জের ধরে তিন মাস আগে স্বরূপকাঠি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বাবু স্যারের দপতরেও ময়না ও মুনিরের ঝামেলা মিটাতে শেষ চেষ্টা করেন। অথচ আজ স্বরূপকাঠির পাপিয়া হয়ে পরকিয়ায় মত্ত। সর্বশেষ নাজিরপুরের সৌদি প্রবাসী সহ বহু ছেলেদের মনোরঞ্জন করে খোশমেজাজে আছে ময়না। অবশ্য জেলার মিডিয়াকে ময়না বলেন ভিন্ন কথা। তবে মিডিয়ার সঠিক কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি সুন্দরী ময়না। অবশ্য ভিন্ন কথা বলেন, বলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি অকপটে বলেন, ভালো মন্দের হিসাব নিকাশ করলে একটা কথা সুস্পষ্ট প্রমাণিত। ময়নার আচার আচরণে থানা কর্তৃপক্ষ সহ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় মেম্বাররা দারুণ অখুশি। পাশাপাশি স্বামী ট্রলার সুকানি মুনিরও জিম্মি। অপর দিকে বাবুল সহ সৌদি প্রবাসীরা রূপের মূর্ছনায় পরকিয়ায় মত্ত। এব্যাপারে নাজিরপুরের বহু সচেতন মহলের দাবী, পরকিয়ার কারনে আজ বহু সংসার ধ্বংস হচ্ছে। আর বলির পাঠা হচ্ছে মুনির সহ বহু পুরুষ রোমিওরা।
Leave a Reply