সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
আগৈলঝাড়ায় কালবৈশাখীর গরম হাওয়ায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

আগৈলঝাড়ায় কালবৈশাখীর গরম হাওয়ায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ কালবৈশাখীর গরম বাতাসে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাতে কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ায় উপজেলার হাজারো কৃষকের স্বপ্নের ফসল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যেসব জমির ধান গাছে কেবল মাত্র শীষ বের হয়েছে সেগুলো গরম হাওয়ায় পুড়ে সাদা ধূসর হয়ে গেছে। পরদিন সকালে কৃষক জমিতে গিয়ে ধানের এই অবস্থা দেখতে পেয়ে হতবাক হয়ে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ খবর পেয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে মাঠে কাজ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এ বছর ৯ হাজার ৪ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে ধানের ফ্লাওয়ারিং স্টেজ চলছে। কিন্তু হঠাৎ করে রোববার সন্ধ্যার পরে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা, রাজিহার, বাসাইল, বসুন্ডা, বাহাদুরপুর, কান্দিরপার, বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী, বাকপাড়া, তেতলা, নওপাড়া, যবসেন, ডুমুরিয়া, কোদালধোয়া, ফেনাবাড়ি, পাকুরিতা, পয়সারহাট, বড়মগড়া, বাগধা ইউনিয়নের জয়রামপট্টি, খাজুরিয়া, চাঁদত্রিশিরা, আমবৌলা, নাগিরপাড়, সোমাইরপাড়, চক্রিবাড়ি, আস্কর, গৈলা ইউনিয়নের বুধার, কুয়াতিয়ারপাড়, নগরবাড়ি, কালুরপাড়, কাঠিরা, সুজনকাঠি, তালতারমাঠ, ভদ্রপাড়া, অশোকসেন, গৈলা, শিহিপাশা, সেরাল, রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা, দীঘিবালী, নাগার, তালতা, চাপাচুপা, মোল্লাপাড়া, নাগার, ছয়গ্রাম, মোহনকাঠি, বেলুহার, চাউকাঠী গ্রামের উপর দিয়ে কালবৈশাখীর গরম হাওয়া প্রবাহিত হয়। বর্তমানে ধানের ফ্লাওয়ারিং (কেবলমাত্র ফুল বের হওয়া) হওয়ার সময়। যেসব জমিতে ধানের ফ্লাওয়ারিং হচ্ছে সেসব জমির ধান গরম বাতাসে পুড়ে গিয়ে সাদা ধূসর বর্ণ ধারণ করেছে। এতে উৎপাদনের প্রায় শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার রাংতা গ্রামের কৃষক আনোয়ার সরদার জানান, কয়েকদিনে প্রচন্ড গরম ও রোববারের বাতাসে কিছু ক্ষেতের আঁধা পাকা ধান পরে বাদশা সরদারের ১শত শতাংশ, সুমন হাওলাদারের ১শত ২০ শতাংশ ও আজগর আলীর ২০শতাংশ ইরি-বোরো ক্ষেতসহ শতাধিক কৃষকের ধান নষ্ট হয়েছে। উপজেলার রাংতা গ্রামের কৃষক ও ব্লক ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন বলেন, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে কালবৈশাখীর ঝড় বইতে শুরু করে। এর মধ্যে রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে গরম বাতাস শুরু হয়। এই গরম বাতাস প্রায় আধা ঘণ্টার মতো স্থায়ী হয়। সকালে জমিতে গিয়ে দেখি, ফুল বের হওয়া ধানের শীষগুলো পুড়ে গিয়ে সব ধান সাদা ধূসর বর্ন হয়ে গেছে। আমার সাড়ে চার বিঘা ক্ষেতের ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কি করব, কিভাবে চলব? বুঝতে পারছি না। গৈলা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ধার-দেনা করে ৩ বিঘা ক্ষেতে ধান চাষ করেছিলাম। তাও শেষ হয়ে গেল। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা না করে তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মরতে হবে। গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম টিটু বলেন, রোববার রাতে আমার এই ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গরম বাতাসে প্রায় ৩০ভাগ কৃষকের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দোলন চন্দ্র রায় বলেন, রোববার রাতে কালবৈশাখীর সাথে গরম বাতাস প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যার পরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জমির ওপর দিয়ে গরম বাতাস বয়ে যায়। রাতে কিছুই বোঝা যায়নি। খবর পেয়ে সকালে কৃষকের জমিতে গিয়ে দেখি ফুল বের হওয়া ধানে গরম বাতাস লেগে পরাগায়ন শুকিয়ে গেছে। ধান গাছ ঠিক থাকলেও শীষগুলো শুকিয়ে সাদা ধূসর বর্ন হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, প্রায় ১শত ৫০হেক্টর জমির ধান আশিংক নষ্ট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com