মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা তসলিম ও পিপলুর নেতৃত্বে বরিশাল জেলা উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের বরিশাল নগরীতে কালো পতাকা মিছিল হিউম্যান ফর হিউম্যানিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গৌরনদীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ
১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ

১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, জরুরি সেবার প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। প্রথম দফায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্পকারখানাও। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। আগামীকাল রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু এতেও কমেনি জনগণের উদাসীনতা। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে। গত ৪ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে সারাদেশে এক সপ্তাহ (৫-১২ এপ্রিল) গণপরিবহন, শপিংমল, বিনোদনকেন্দ্রসহ সবকিছু বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পরে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এক সপ্তাহের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু বিধিনিষেধ কার্যকরের তিনদিনের মাথায় গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার অনুমতি দেয়া হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বেচাকেনা করতে হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়েছে। দু-সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ জাতীয় পরামর্শক কমিটির: এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের কথা বলা দু-সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। ‘করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’ এর ৩০তম সভায় বিশেষজ্ঞরা এ অভিমত জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন। বিশেষ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন দিতে হবে। পরবর্তীতে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারি বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর আগে বুধবার রাতে কমিটির ৩০তম সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সদস্যদের সবার উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে কিছু সুপারিশ গৃহীত হয়। সেগুলো হলোÑ সারাদেশে উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও ১১ দফা বিধিনিষেধ দেয়া হয়। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণ করা দরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় পূর্ণ লকডাউন দিতে হবে। দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারি পর্যায়ের এ কার্যক্রমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতি দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। সংক্রমণের হার বাড়ার কারণে নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও সময় লাগছে। যারা নমুনা পরীক্ষা করাতে আসছেন, তাদের বড় অংশ বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্য যাত্রীদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠাতে পারলে সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। তাদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এতে করে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে। যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাকসিন দেয়ার কার্যক্রম যুক্তরাজ্যে ফলপ্রসু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানি করে টিকাদানের সুপারিশ পুনরায় করা হলো।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com