স্টাফ রিপোর্টার ॥ লকডাউনে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও রেশনিং এবং নগরীতে করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদের মানিক হাওলাদার, দুলাল মল্লিক, জাহাঙ্গীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম, মাফিয়া বেগম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিজন শিকদার, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বাসদ আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন বলেন, শ্রমজীবীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও অর্থ সহায়তা ছাড়া কোনভাবেই লকডাউন কার্যকর করা সম্ভব নয়। কিন্তু এবার লকডাউনে একদিকে শ্রমিকদের আয়-রোজগার অর্ধেকে নেমেছে অন্যদিকে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে শ্রমজীবী, দরিদ্র-নিম্নবিত্ত এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও সীমাহীন দু:খ-দুর্দশার মধ্যে অতিবাহিত করছে। এই অবস্থায় আবারও কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসছে। একদিকে রমজান মাস আরেকদিকে লকডাউনের ঘোষণায় শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে অনিশ্চিয়তা-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। তাই এবারের লকডাউন ঘোষণার আগেই, লকডাউন কার্যকর করতে অবিলম্বে শ্রমজীবীদের খাদ্য ও অর্থ সাহায্যের ঘোষণা দিতে হবে। ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, বরিশালে করোনা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। শের-ই-বাংলা মেডেকেল কলেজে একটা পিসিআর ল্যাবে দিনে মাত্র ১৮৮টি টেস্ট করা যায় যা এই সময়ে খুবই অপ্রতুল। তাই বরিশালে পিসিআর ল্যাবের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার যে ভয়াবহ সংকট বরিশাল বিভাগে বিরাজ করছে তা দূর করতে করোনা ইউনিটে এবং আইসিইউ এ বেড সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নগরিতে এবং অন্যান্য জেলাতে করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু করতে হবে। বরিশালে প্রতিদিনই উদ্বেগজনকভাবে করোনা রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সীমিত করোনা বেডের ফলে নগরিতে দ্রুত আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের কোন বিকল্প নেই। আমরা বাসদের পক্ষ থেকে ডাক্তার, নার্স, ভলান্টিয়ার, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করে করোনা আইসোলেশন সেন্টারের জন্য একটা ভেন্যু পেতে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। বরিশালবাসীর কাছেও আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাই কেউ একটা জায়গা দিলে আমরা করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার চালু করতে পারবো। ডা. মনীষা চক্রবর্ত্তী আরও বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগে শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষদের জন্য খাদ্য ও অর্থ সহায়তা না দিলে শ্রমিকেরা জীবন জীবিকার জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। তাই অবিলম্বে শ্রমিকদের রেশনিং নিশ্চিত করতে হবে। সমাবেশের আগে একটি মিছিল নগরির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সকাল ১১টায় অশি^নীকুমার হলের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপরোক্ত দাবিতে জেলা প্রসাশকের কাছে মেইলে স্মারকালপি দেয়া হয়।
Leave a Reply