আমতলী প্রতিনিধি ॥ বরগুনার আমতলীতে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে সাড়ে তিন বছরের এক কন্যাশিশুকে ইলিয়াস সিকদার নামে এক শ্রমিক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার শিশুকন্যার মা অভিযোগ করেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজন কুকুয়া ইউনিয়নের ফাইভ স্টার ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করি। একই ইটভাটায় পশ্চিম সোনাখালীর ইসমাইল সিকদারের ছেলে ইলিয়াস সিকদারও কাজ করে। গত বুধবার দুপুরে ইলিয়াস ভিকটিম শিশু কন্যাকে মজা (চকলেট) খাওয়ানোর কথা বলে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির ডাক চিৎকারে শিশুর মাসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে ধর্ষক ইলিয়াস পালিয়ে যায়। এসময় ভিকটিম শিশুটিকে ইটভাটার সরদার মো. নুর আলম উদ্ধার করে গাজীপুর বন্দরের পল্লী চিকিৎসক মো. জসিম উদ্দিনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটির চিৎকিসা করিয়ে এনে গত ৫ দিন ভিকটিম ও তার বাবা-মাকে ইটভাটা ম্যানেজার মোফাজ্জেল হাওলাদার ও লেবার সর্দার নুর আলম আটকে রাখে। সেখান থেকে গত সোমবার ভিকটিম শিশুটির মা-বাবা পালিয়ে এসে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তারান্নুম মাহজাবিন শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করার পরে অধিকতর পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়ে দিয়েছেন। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী শিশু কন্যার বাবা বলেন, ধর্ষণের আলামত নষ্ট ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইটভাটার ম্যানেজার মোফাজ্জেল হাওলাদার ও সরদার মো. নুর আলম আমাদের আটকে রেখেছেন। পাঁচ দিন পর ওই ইটভাটা থেকে পালিয়ে এসে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ইটভাটার সরদার মো. নুর আলম শিশুটির বাবা মাকে আটকে রাখার কথা অস্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। ইটভাটার মালিক মো. মধু প্যাদা বলেন, এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। সাড়ে তিন বছরের একজন শিশু কন্যার সঙ্গে এমন ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দাবি করি। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply