মুলাদী প্রতিনিধি ॥ মুলাদী উপজেলার বিধবা শানু বেগমকে (৬৫) জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেজে মৃত থেকে জীবিত দেখানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডাটাবেজে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ও নাম দিয়ে সার্চ দিলে এখন তাকে জীবিত দেখাচ্ছে। বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার দুপুরে শানু বেগমের লিখিত আবেদনটি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বচান কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দ্রুত তার কাজটি সম্পাদনের জন্য বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে যোগাযোগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, প্রধান কার্যালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে জানানো হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে শানু বেগমকে মৃত শব্দটি সংশোধন করে জীবিত লেখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এরপর আমরা শানু বেগমের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ও নাম দিয়ে সার্চ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি। এখন তার জাতীয় পরিচয় পত্রটি পুরোপুরি সচল। মৃত দেখানোর কারনে এতদিন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ও নাম দিয়ে সার্চ দিলে ইনভালিড দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু সেটি সংশোধনের পর এখন সার্চ দিলে পুরোপরি সচল ও শানু বেগমকে জীবিত দেখানো হচ্ছে। ফলে বিধবা ভাতা পেতে শানু বেগমের এখন আর কোন অসুবিধা থাকলো না। পাশাপাশি সরকারি যে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতে শানু বেগমকে আর সমস্যায় পরতে হবে না। মুলাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শওকত আলীকে বিষয়টি শানু বেগমকে জানাতে বলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শওকত আলী জানান, বেলা ১২ টার দিকে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে শানু বেগমের জাতীয় পরিচয় পত্রের ডাটাবেজে মৃত থেকে জীবিত দেখানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বিষয়টি জানাতে শানু বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেছি। তবে তার মুঠোফনটি বন্ধ থাকায় কল ঢুকছে না। বিষয়টি জানাতে শানু বেগমের বাড়িতে লোক পাঠানো হচ্ছে। মো. শওকত আলী আরও বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে শানু বেগমকে মৃত দেখানো তথ্য সংগ্রহকারী ও তদারকির দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষককে এরই মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন স্যারের নির্দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ওই দুই শিক্ষকের গাফিলতি-অবহেলা ও উদাসীনতা এবং অন্য কোন কারন ছিল কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে শানু বেগমের মুঠোফনটি বন্ধ থাকায় তার এক স্বজনের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করা হয়। তার কাছ থেকে শানু বেগমের ছেলে খোকন ফরাজীর নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করা হয়। এরপর শানু বেগমের সঙ্গে কথা হয়। শানু বেগম বলেন, নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরেছি। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। রোববার উপজেলা নির্বাচন অফিসে ডেকে আমার বিষয়টি পুনরায় জানতে চায় এবং দ্রুত সমাধানের আশ^াস দেয়। জানতে পারলাম আমার বিষয়টি সমাধান হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে আমাকে মৃত থেকে জীবিত করা হয়েছে। আমি অনেক খুশি ও আনন্দিত।
Leave a Reply